সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: একবার বলেছিলেন, আপনার অন্যান্য উপন্যাস দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর মতো ‘the chimeric ideal of the novel’ হতে সাহায্য করেনি। আপনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: আমার মনে হয় উপন্যাস হিসেবে এই ধরনের রূপের প্রবণতা থাকে। এটা বাড়াবাড়ির দিকে ঝুঁকে থাকে, প্লটটি ক্যান্সারের মতো বিকশিত হয়। যদি লেখক উপন্যাসের প্রতিটি সূত্র অনুসরণ করেন, তা এক সময় জঙ্গলে পরিণত হয়। পুরো গল্পটি বলার বাসনা প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অন্তর্নিহিত। যদিও আমি সবসময় অনুভব করেছি, অনন্তকাল যাতে না চলে সেজন্য এমন এক সময় আসে যখন আপনাকে গল্পটি শেষ করতে হয়। তবে আমি মনে করি, গল্প বলা আসলে সেই ‘সম্পূর্ণ’ উপন্যাসের আদর্শে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা। এই ক্ষেত্রে, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এ বিষয়ে আমি সবচেয়ে বেশি এগিয়েছি দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড উপন্যাসে।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: মায়তা এবং দ্য ওয়ার অব দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড উপন্যাসে বলেছিলেন, সত্যের পুরো জ্ঞান নিয়ে আপনি মিথ্যা বলতে চেয়েছিলেন। কী বুঝাতে চেয়েছিলেন?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: গল্প লেখার সময় আমি একটি সুনির্দিষ্ট বাস্তবতা থেকে লেখা শুরু করতে পারি। আমি জানি না তা সব লেখকের জন্য সত্য কিনা, কিন্তু আমার জন্য সবসময় বাস্তবতার ‘ট্রাম্পোলিন’ প্রয়োজন। এজন্যই আমি গবেষণা করি এবং যেখানে ঘটনা ঘটছে সেই জায়গাগুলিতে যাই, তবে আমার লক্ষ্য কেবল বাস্তবতা পুনরুৎপাদন করা নয়। আমি জানি তা অসম্ভব। যদি আমি তা করতে চাইতাম ফলাফল ভালো হতো না, একেবারে ভিন্ন কিছু হয়ে যেত।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: মায়তা উপন্যাসের শেষাংশে, বর্ণনাকারী আমাদের বলে প্রধান চরিত্রটি এখন একটি পানশালার মালিক। সে এত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি মনে রাখতে সমস্যায় পড়েছে। সত্যিই কি তা ঘটেছিল? মানুষটা কি সত্যিই অস্তিত্বশীল?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: হ্যাঁ, সে সত্যিই অস্তিত্বশীল। তবে বইতে তাকে যেমন দেখানো হয়েছে তেমন নয়। আমি অনেক কিছু পরিবর্তন করেছি এবং যোগ করেছি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, চরিত্রটি একসময় ‘ত্রটস্কিস্ট’ মতবাদী ছিল এবং অনেকবার কারাবন্দি হয়েছিল। যখন তার সাথে কথা বলে শেষ অধ্যায়ের ধারণাটি পেয়েছি এবং অবাক হয়ে দেখি তার জীবনের যেসময়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতাম, তা তার কাছে এক সময়ের পরিসংখ্যানের মতো হয়ে গেছে—একটি খণ্ডিত জীবনের মধ্যে অন্য আরেকটি অ্যাডভেঞ্চার। তা সত্যিই অবাক করেছিল, যখন কথোপকথন চলাকালীন বুঝতে পারি ঘটনাগুলি সম্পর্কে আমি তার চেয়ে বেশি জানি। সে ইতোমধ্যেই কিছু তথ্য ভুলে গেছে এবং কিছু বিষয় ছিল যা সে কখনো জানতই না। আমি মনে করি শেষ অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা-ই পুরো বইটির অনুভূতি পরিবর্তন করে।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার এর ক্যামাচো সম্পর্কে বলুন, যিনি রেডিওর জন্য সিরিয়াল লেখেন এবং তার নিজের প্লটগুলো মিশিয়ে ফেলেন।
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: পেড্রো ক্যামাচো কখনো অস্তিত্বশীল ছিল না। যখন আমি পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকে রেডিওতে কাজ শুরু করি, তখন একজন পুরুষকে চিনতাম যিনি রেডিও সেন্ট্রাল, লিমায় রেডিও সিরিয়াল লিখতেন। তিনি বাস্তব চরিত্র ছিলেন। একেবারে স্ক্রিপ্ট-মেশিন ছিলেন: তিনি অবিশ্বাস্যভাবে অসংখ্য পর্বের সহজ-সরল স্ক্রিপ্ট লিখতেন। দ্বিতীয়বার নিজের লেখা কখনো পড়ে দেখতেন না। আমি তার প্রতি মুগ্ধ ছিলাম, কারণ আমার চেনাজানার মধ্যে তিনিই ছিলেন প্রথম পেশাদার লেখক। তার মধ্যে থেকে যেন নিঃশ্বাসের মতো বেরিয়ে আসা বিশাল বসুন্ধরা—আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছিল এবং আমি তার প্রতি পুরোপুরি মোহিত হয়ে পড়ি, যখন সে ঠিক সেই কাজ করতে শুরু করল যা পেড্রো ক্যামাচো বইয়ে করে।তিনি যে গল্পগুলো লিখেছিলেন তা একদিন মিশে যেতে শুরু করল। রেডিও স্টেশনে দর্শকদের কাছ থেকে চিঠি আসতে লাগল। চিঠিতে কিছু অস্বাভাবিকতা সম্পর্কে সতর্ক করেছিল, যেমন, চরিত্ররা এক গল্প থেকে আরেকটি গল্পে চলে যাচ্ছিল। তা-ই আমাকে আন্ট জুলিয়া অ্যান্ড দ্য স্ক্রিপ্টরাইটার দিয়েছিল। তবে স্পষ্টতই, উপন্যাসে চরিত্রটি অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। তার মডেল থেকে সে অনেক আলাদা। সে কখনো পাগল হয়ে যায়নি। আমি মনে করি, সে স্টেশনটি ছেড়ে দিয়েছিল, ছুটি নিয়েছিল…উপন্যাসের চেয়ে তার সমাপ্তি অনেক কম নাটকীয় ছিল।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: উপন্যাসটিতে কি এক ধরনের মেটা-ভাষা নেই যে আপনার আদলে গড়া ভার্গুইতাস কামাচোর ধারাবাহিক চরিত্রগুলির জীবনের মতোই হাস্যকর জীবনযাপন করেন?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: ঠিক তাই। যখন আন্ট জুলিয়া লিখছিলাম, ভাবছিলাম কেবল পেড্রো ক্যামাচোর গল্পটি বলব। উপন্যাসটি লেখার মাঝামাঝি সময়ে বুঝতে পারলাম তা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক খেলা হয়ে যাচ্ছে এবং বিষয়টি খুব বিশ্বাসযোগ্য হবে না। যেমন আগেই বলেছি, আমার মধ্যে এক ধরনের বাস্তববাদী মানসিকতা আছে। সুতরাং, পেড্রো ক্যামাচোর গল্পের অস্বাভাবিকতার বিপরীতে, আরেকটি বাস্তবধর্মী প্লট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যা উপন্যাসটিকে বাস্তবতার সাথে মেলাবে। যেহেতু তখন একটি ‘সোপ অপেরা’ জীবনযাপন করছিলাম—আমার প্রথম বিয়ের গল্পটি অন্তর্ভুক্ত করি এবং তাকে অন্য গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দিই—এই আশা করে যে কল্পনার জগৎ এবং প্রায় ডকুমেন্টারি ধরনের বাস্তবতার মধ্যে বিরোধ প্রতিষ্ঠা করতে। এই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারি, তা সম্ভব নয়। যখন কাল্পনিক কিছু লিখছেন সেখানে কিছুটা অবাস্তবতা সবসময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঢুকে পড়ে। ব্যক্তিগত গল্পটি অন্যটির মতোই উন্মাদ হয়ে উঠল। ভাষাই নিজেই বাস্তবতাকে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। তাই ভার্গুইতাসের গল্পে জীবনীমূলক উপাদান রয়েছে—যা একরকম “সংক্রমণের” মাধ্যমে গভীরভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: সাম্প্রতিক কয়েকটি নিবন্ধে আপনি এমন কিছু দাবি করেছেন যা খুবই নৈরাশ্যবাদী বলে মনে হয়। যেমন, ১৯৮২ সালে লিখেছিলেন: “সাহিত্য রাজনীতির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। লেখকদের রাজনীতিতে জড়িত হওয়া উচিত কেবল এর বিপজ্জনক পরিকল্পনার বিরোধিতা করার এবং সেগুলিকে তাদের জায়গায় স্থাপন করার অর্থে।” রাজনীতি কীভাবে উন্নতি আনতে পারে সে সম্পর্কে তা নৈরাশ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নয় কি?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: না। আমি বলতে চেয়েছি সাহিত্য এমন কিছু যা রাজনীতির চেয়ে বেশি স্থায়ী হয়। একজন লেখক সাহিত্য এবং রাজনীতি একসাথে সমানভাবে রাখলে সে লেখক হিসেবে এবং হয়ত রাজনীতিবিদ হিসাবেও ব্যর্থ হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে রাজনৈতিক কাজ বেশী কাল্পনিক নয়, তবে সাহিত্য কালের জন্য থাকে। আপনি বর্তমান সময়ের জন্য লেখেন না; ভবিষ্যতে একটি কাজ প্রভাব ফেলবে, সে জন্য সময়ের ভূমিকা প্রয়োজন, যা রাজনৈতিক কাজের ক্ষেত্রে কখনোবা বিরলভাবে ঘটে। তবে তা বলার পরেও, আমি কখনোই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি না এবং যা লিখি এবং করি তাতে নিজেকে জড়িত করে ফেলি। আমি বিশ্বাস করি, একজন লেখক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জড়িত হতে পারবেন না, বিশেষ করে এমন দেশগুলোতে যেখানে সমস্যা কঠিন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি প্রায়ই নাটকীয় হয়। লেখকদের যেকোনো ভাবে পরস্পরের কাজ করা উচিত, সমালোচনা প্রদান, ধারণা প্রদান, কল্পনা ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা উচিত। আমি মনে করি, লেখকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সমাজের এবং ব্যক্তির মুক্তি—কারণ তারা সকল শিল্পীর মতো, অন্যদের চেয়ে এটা বেশি অনুভব করে। যে ন্যায়বিচার আমরা সবাই চাই, তা কখনোই মুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া উচিত নয়; এবং আমাদের কখনোই এই ধারণা মেনে নিতে হবে না যে, কখনো কখনো সমাজের ন্যায়বিচার বা জাতীয় নিরাপত্তার নামে মুক্তি ত্যাগ করা উচিত, যেমনটা চরম বামপন্থী বা চরম ডানপন্থি গোষ্ঠী আমাদের করতে বলছে। লেখকরা তা জানেন, কারণ তারা প্রতিদিন অনুভব করেন সৃষ্টির জন্য এবং জীবনেরই জীবনের জন্য মুক্তি কতটা প্রয়োজন। লেখকদের তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করা উচিত, যেমন একটি ন্যায্য মজুরি বা কাজ করার অধিকার রক্ষা করা উচিত ।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: কিন্তু রাজনীতি কী করতে পারে সে সম্পর্কে আপনার নৈরাশ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আমি আপনার বক্তব্যটি উদ্ধৃত করছিলাম। লেখকদের কি তাদের বিরোধিতা প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নাকি থাকা উচিত?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: আমার মনে হয় লেখকদের অংশগ্রহণ, বিচার-বিবেচনা এবং হস্তক্ষেপ করা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাজনীতিকে সাহিত্যের ক্ষেত্র, লেখকের সৃজনশীল ক্ষেত্রকে আক্রমণ এবং ধ্বংস করতে না দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। যখন এমনটা ঘটে, তখন তা লেখককে হত্যা করে, একজন প্রচারক ছাড়া আর কিছুই করে তুলে না। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো, তিনি তার মতামত প্রকাশের দায়িত্ব ত্যাগ না করে বা নিজেকে প্রত্যাখ্যান না করে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর যেন সীমা নির্ধারণ করেন।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: কীভাবে একজন লেখক যিনি সবসময় রাজনীতি নিয়ে মারাত্মক অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন, তিনি ১৯৯০ সালে পেরুর নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেন?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: একটি দেশ কখনো কখনো জরুরি অবস্থায় পড়তে পারে, যেমন যুদ্ধের মতো, যেখানে বিকল্প কিছু থাকে না। আজকের পেরুর পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপর্যস্ত। অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ১৯৮৯ সালের প্রথম দশ মাসে, জনগণ তার ক্রয়ক্ষমতার অর্ধেক হারিয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিহাসের বিষয় হলো, এই বিশাল সংকটের মধ্যে, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আমরা পেরুতে ১৯৬৮ সাল থেকে ব্যবহৃত কলেক্টিভিস্ট, সোশ্যালিস্ট রাষ্ট্রের মডেলটি পুনর্বিবেচনা করতে পারি। আমাদের এই সুযোগটি হারানো উচিত নয়, যা আমরা এই গত কয়েক বছর ধরে সংগ্রাম করে এসেছি: উদারবাদী সংস্কার এবং একটি প্রকৃত বাজার অর্থনীতির সৃজন। এছাড়া, পেরুর রাজনৈতিক সংস্কৃতির পুনর্নবীকরণ এই সংকটের জন্য দায়ী, সেটি জরুরি। এই সমস্ত কারণগুলি আমার সমস্ত সংশয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল এবং রাজনৈতিক সংগ্রামে জড়িত হওয়ার দিকে পরিচালিত করেছিল—সর্বোপরি, তা একটি অত্যন্ত সরল বিভ্রম।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: একজন লেখক হিসেবে, আপনি কী মনে করেন আপনার সবচেয়ে বড় গুণ এবং সবচেয়ে বড় ত্রুটি কী?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: আমি মনে করি আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, আমার অধ্যবসায়: আমি অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতে সক্ষম এবং নিজেকে এমন কিছু থেকে বেশি পাওয়ার চেষ্টা করি যা আমি ভাবতাম সম্ভব নয়। আমার সবচেয়ে বড় ত্রুটি, আমি মনে করি, আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব, যা আমাকে ব্যাপকভাবে পীড়িত করে। আমাকে একটি উপন্যাস লিখতে তিন বা চার বছর সময় লাগে—এবং আমি সেই সময়ের একটি বড় অংশ নিজের উপর সন্দেহ করতে কাটাই। সময়ের সাথে সাথে তা আরো ভালো হয় না; বরং, আমি মনে করি আমি আরো আত্মসমালোচক এবং কম আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। হয়ত এ কারণে আমি গর্বিত নই: আমার বিবেক খুবই শক্তিশালী। তবে আমি জানি যে আমি আমার মৃত্যু অবধি লিখতে থাকব। লেখা আমার প্রকৃতিতে রয়েছে। আমি আমার জীবন আমার কাজ অনুসারে কাটাই। যদি আমি না লিখতাম, তবে আমি নিশ্চিতভাবে আত্মহত্যা করতাম। আমি আরো অনেক বই লিখতে চাই এবং ভালো বই। আমি আরো আকর্ষণীয় এবং চমৎকার অভিযান করতে চাই যা আমি ইতোমধ্যেই করেছি। আমি কখনোই মেনে নেব না যে আমার সেরা বছরগুলো আমার পেছনে চলে গেছে, এমনকি প্রমাণ দেখলে আমি তা মেনে নেব না।
সাক্ষাৎকারগ্রহণকারী: আপনি কেন লেখেন?
মারিও ভার্গাস ইয়োসা: “আমি লেখি কারণ আমি অশান্ত। আমি লেখি কারণ তা অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার উপায়।”—(স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ করেছেন সুসান্না হানিউয়েল)
১৮৯৭ সালে মেসিয়ানিক ধর্মগুরু আন্তোনিও ম্যাসিয়েলের নেতৃত্বে বিশাল সংখ্যক হতাশ গ্রামবাসী ব্রাজিলের বাহিয়া প্রদেশের সের্তাও অঞ্চলের কানুডোস শহর দখল করে। ম্যাসিয়েল যে কিনা ‘দ্য কাউন্সেলর’ (পরামর্শদাতা) নামেও পরিচিত, তার নিয়ন্ত্রণে তারা এই গ্রামটিকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করে। অবশেষে, ব্রাজিলের যুদ্ধ-মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি অভিযানের মাধ্যমে এই বিদ্রোহ দমন করা হয়, শেষে তা পুলিশ এবং সামরিক অনেক প্রচেষ্টার পরেও ব্যর্থ হয়েছিল। শেষ