[ad_1]
উৎসব শুধু আনন্দের বিষয় নয়, বরং সংস্কৃতি, ধর্ম ও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মধ্যপ্রাচ্য ও আশেপাশের অঞ্চলে অনেক উৎসব আছে যেগুলো শত শত বছর ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসবগুলোর ধারাবাহিকতা এবং রূপান্তর প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে সংস্কৃতি, ধর্ম, রাজনীতি ও জাতীয়তাবাদের আলোচনায়। কিছু উৎসব প্রাক-ইসলাম যুগে শুরু হয়েছিল, আবার কিছু এসেছে ইসলামের প্রভাবে। এই প্রবন্ধে মুসলিম বিশ্বের ৭টি দেশের প্রধান উৎসবগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সৌদি আরব : উকাজের মেলা
প্রাক-ইসলামি যুগে মক্কার অদূরে নাখলা ও তায়েফের মধ্যবর্তী উকাজ নামক স্থানে বাৎসরিক একটি ‘বাজার’ বা ‘শুক’ বসতো। এ বাজারে আরবের আনাচে-কানাচে থেকে বিভিন্ন গোত্রের মানুষজন এসে কবিতা পাঠ ও প্রতিযোগিতা, নানাবিধ বিরোধ নিষ্পত্তি, আইন প্রণয়ন, রায় প্রদান, চুক্তি ও সন্ধি ঘোষণার মতো প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আনন্দের সাথে করতো। ঐতিহাসিকভাবেই আরবরা যুদ্ধবাজ জাতি। প্রাচীনকালে তাই এক গোত্রের সাথে অন্য গোত্রের প্রায় সারাবছরই হানাহানিতে ব্যস্ত থাকতো৷ তবে বছরের উকাজের মেলা চলাকালীন সময়ে তারা যুদ্ধে বিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য বসতো। আরবি পঞ্জিকা অনুযায়ী ১১তম মাস জিলক্বদ মাসে ২১ দিন ব্যাপী এ মেলা চলতো। তবে এই মেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ‘কবিতা পাঠের আসর’। আরবি বেদুইনদের নিয়ে যেমনটা প্রচলিত আছে— “কাব্য প্রীতিই হচ্ছে বেদুইনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ”।
প্রাক-ইসলামি যুগে উকাজের মেলাকে কেন্দ্র করে আরবি-কাব্য সাহিত্যের বিকাশ লাভ করেছে৷ উকাজের মেলায় কবিতা প্রতিযোগিতার প্রথম ৭টি কবিতাকে মিশরের লিলেন কাপড়ের উপর লিখে কাবা ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হতো৷ এই ৭টি কবিতাকে একত্রে বলা হতো ‘সাব আল মুয়াল্লাকা’। তবে ইসলামের আবির্ভাবের পরে খারিজিরা এই মেলা বন্ধ করে দেয়। ২০০৬ সালে সৌদি সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং পরে সৌদি পর্যটন ও জাতীয় ঐতিহ্য কমিশন (SCTH) উকাজের মেলাকে বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে উকাজ উৎসবে প্রাচীন উকাজ মেলার মতো করে শুক বা বাজার বসিয়ে আরবীয় নানান সাংস্কৃতিক পণ্য বিক্রয় করা হয়৷ কবিতা পাঠের আসরও বসানো হয়৷ মেলায় ‘উকাজ কবি পুরস্কার’ এবং ‘উকাজ তরুণ কবি পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।
তুরস্ক : হিদিরেলেজ
প্রাক-ইসলামি এবং ইসলাম পরবর্তী যুগের জনপ্রিয় চরিত্র হলো হজরত খিজির আঃ (আল-খিদর)। লোকবিশ্বাস, মৌখিক সাহিত্য এবং আল-কোরানের মতে তিনি নবী, অলি অথবা দিব্য-পুরুষ হিসেবে সমাদৃত। আরেক জনপ্রিয় চরিত্র হজরত ইলিয়াস আঃ। পৃথিবীতে প্রথম যেদিন এই দুই মহান ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়, সেদিনকে স্মরণ করে তুরস্ক, বলকান অঞ্চল এবং মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার কিছু অংশে মহাসমারোহে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। প্রধানত তুরস্কে দিনটি বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়৷ তুর্কি ভাষায় খিজির আঃ বা হিদির এবং ইলিয়াস আঃ বা এলিজা বলে ডাকা হয়। এই দুই মহান ব্যক্তির নামকে একত্রিত করে এই উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে হিদিরেলেজ।
লৌকিক বিভিন্ন গল্পকাহিনীতে সচরাচর এই দুই পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা যায়৷ লোকবিশ্বাস মতে, হজরত খিজির আঃ পানি, জীবন এবং বৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত। অপরদিকে হজরত ইলিয়াস আঃ মাটি, উদ্ভিদ এবং উর্বরতার সাথে সম্পর্কিত। তাই দুজনের সাক্ষাতের দিনকে বসন্তের আগমন, পুনর্জীবন, উর্বরতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ভাবা হয়৷ প্রতি বছর ৫ মে রাত ও ৬ মে দিনে উৎসবটি উদযাপিত হয়। উৎসবটি প্রাক-ইসলামিক, ইসলামিক, শামানিক, আনাতোলিয়ান ও মধ্য-এশীয় নানাবিধ সাংস্কৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ থাকে। হিদিরেলেজ পারস্য নববর্ষ ‘নওরুজ’ এবং বেলটেন (সেল্টিক মে দিবস) এরসঙ্গে তুলনীয়৷
তুরস্কে ৬ মে হিদিরেলেজ পালন করা হয়৷ এ দিনে বাড়ি-ঘর ধুয়েমুছে পাক-পবিত্র রাখা হয়। সকলে নতুন জামাকাপড় পরে৷ মানুষজন বিশ্বাস করে, ঘর পরিষ্কার না থাকলে খিজির আঃ আসবেন না৷ এছাড়াও এই দিনে ভেড়ার মাংস ও কলিজা খাওয়ার চল আছে। বিশ্বাস করা হয়, হিদিরের দিন ভেড়ার কলিজা খেলে সকল রোগবালাইয়ের অবসান হয়৷
এই দিনে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়৷ বিশেষত নদী বা লেকের ধারে বা গাছপালার পাশে উন্মুক্ত স্থানে আগুন জ্বালিয়ে জলসার আয়োজন করা হয়৷ আগুনের উপর লাফ দিয়ে অতিক্রম করার সময় ব্যক্তি নিজ মনে যে প্রার্থনা করবেন, তা পূরণ হবে বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। এছাড়াও এদিনে দান, উপবাস ও পশু কোরবানি দেওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে৷
ইরান : শব-ই-ইয়ালদা
উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম রাত অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বরকে ঘিরে ইরানে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে চলমান উৎসব হলো শব-ই-ইয়ালদা। ইয়ালদা শব্দটি এসেছে প্রাচীন সুরিয়ানী ভাষা হতে, যার অর্থ হলো ‘জন্ম’ বা ‘সূচনা’। প্রাচীন পারসিক ধর্ম বা জরথ্রুস্ত্রীয় বিশ্বাস মতে, দীর্ঘতম রাতে অশুভশক্তি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অশুভশক্তির দমন ও পরবর্তী দিবসের সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষায় ইরানিরা তাই সারারাত জেগে থাকতো। এভাবেই এ উৎসবের শুরু।
জরথুস্ত্রীয় বিশ্বাসীদের হাত ধরে উৎসবটির সূচনা হলেও, পরবর্তীতে ইসলামিক আমলেও উৎসবের আবেদনে কখনো ভাটা পড়েনি। ইয়ালদা রাতে ইরানিরা তাই একত্রিত হয়ে পরিবার নিয়ে রাতের খাবার খায়, গল্প করে, শাহনামা বা হাফিজের কবিতা পাঠ করে কাটায়। তরমুজ ও ডালিম শব-ই-ইয়ালদার দুটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফল। লৌকিক বিশ্বাস মতে, ডালিম হল উর্বরতার প্রতীক—এর গাঢ় লাল বর্ণ সূর্য ও আনন্দকে প্রতিফলিত করে। গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ ইয়ালদার রাতে সকলকে গ্রীষ্মের উষ্ণতা ও তাপকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
মিশর : শাম এল-নেসিম
প্রতিবছর ইস্টার সানডের পরদিন মিশরীয়রা ‘শাম এল-নেসিম’ পালন করেন। আরবি ভাষার এর আভিধানিক অর্থ হলো ‘বাতাসের ঘ্রাণ’। মিশরীয়রা মূলত বসন্তের আগমনি বাতাসকে বোঝাতে ‘শাম এল-নেসিম’ শব্দটি ব্যবহার করে। ঐতিহাসিকদের মতে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৬৫০-২৫৭৫ সালের মধ্যে তৃতীয় রাজবংশের শাসনামল হতে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। তখন ‘শেমু’ নামে পরিচিত ছিল। প্রাচীন মিশরীয়রা শেমু-এর দিন দেবতাদের উদ্দেশ্যে শুঁটকি মাছ ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য উৎসর্গ করতো। পরবর্তীকালে মিশরে ইসলামের বিস্তার ঘটলেও এই উৎসবের তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বর্তমানে মিশরীয়রা এ দিনটি পরিবারের সাথে কাটাতে পছন্দ করে। পরিবার নিয়ে নীল নদে ভ্রমণ, পিকনিকের আয়োজন, সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ, চিড়িয়াখানা বা দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে কাটায়। ইস্টার সানডে উৎসবের মতো শাম এল-নেসিম উৎসব পালনেও ডিম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ঐতিহ্যগতভাবে মিশরীয়রা এদিন নানান খাবার রান্না করে—সেদ্ধ ডিম দিয়ে সাজিয়ে তা পরিবেশন করে। এছাড়াও ডিমের গায়ে রং করে বা শুভেচ্ছা বাণী লিখে ঘরের বাহিরে ঝুলিয়ে রাখার রেওয়াজ লক্ষ্য করা যায়। তবে শাম এল-নেসিমের প্রধান আকর্ষণ হলো ‘ফেসিখ’—মিশরীদের জনপ্রিয় একধরণের শুঁটকি মাছ। যদিও ভালো মতো রান্না করতে না পারলে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
ফিলিস্তিন : নবী মুসা উৎসব
প্রতিবছর ইস্টারের এক সপ্তাহ পূর্বে জেরুজালেমের অদূরে অবস্থিত ‘জেরিকো’ নামক স্থানে নবী মুসার সমাধিক্ষেত্রকে কেন্দ্র ‘নবী মুসা উৎসব’ পালিত হয়। সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবকে ‘নবী মুসার মৌসুম’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কথিত আছে, ১১৮৭ সালে সালাউদ্দিন আইয়ুবীর জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের পরে তিনি স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে জেরুজালেমের অদূরে নবী মুসার সমাধিক্ষেত্রটি তৈরি করেন। মূলত তখন থেকেই উৎসবটির সূচনা হয়।
ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এর তারিখ গ্রিক অর্থোডক্স ক্যালেন্ডারের সাথে সম্পর্কিত। গুড ফ্রাইডের এক সপ্তাহ পূর্বের শুক্রবারে এ উৎসবের মূল আয়োজন শুরু হয়৷ উৎসবে তীর্থযাত্রীরা এক সপ্তাহ পূর্বে থেকেই জেরুজালেমে জড়ো হতে শুরু করে, ধর্মীয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন করতে থাকে। মূল অনুষ্ঠান সপ্তাহব্যাপী চলে—বৃহস্পতিবারে সবাই জেরুজালেমে ফিরে আসে, পরের দিন শুক্রবারে তীর্থযাত্রীরা মিছিল নিয়ে আল-আকসা ও ডোম অফ দ্য রক-এ যায়। শনিবারে সবাই পতাকা ও গান গেয়ে জেরুজালেম ত্যাগ করে। মূলত সপ্তাহব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যিকির, ধর্মীয় সঙ্গীত, প্রার্থনার মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা দিন অতিবাহিত করে।
ইরাক : ইদ আল-গাদির
শিয়াদের মাঝে ইদ আল-গাদির বেশ জনপ্রিয় ধর্মীয় উৎসব। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইমাম আলী ইবনে আবু তালিবকে নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর জিলহজ্জ মাসের ১৮ তারিখ ইদ আল-গাদির পালন করা হয়। পুরো বিশ্বের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে দিনটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়। বিশেষ করে নাজাফ, কারবালা ও কাজিমিয়ার মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলো ইরাকে অবস্থিত হওয়ায় এদিনটি ইরাকিরা বেশ আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করে৷
সেদিন পুরো নাজাফ শহর সুসজ্জিত করে রাখা হয়। ইরাক, পাকিস্তান, ইরান, লেবানন থেকে তীর্থযাত্রীরা ইমাম আলীর মাজার জিয়ারত করার জন্য নাজাফে আসে। স্লোগান আর মিছিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন জমায়েত হয় মাজার প্রাঙ্গণে এবং দোয়া আল-নুদবা জিকির করে নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে ইমাম আলীর প্রতি৷ শিয়া মুসলিমদের কাছে ইদ আল-গাদির হলো ইদ আল-আকবর বা শ্রেষ্ঠ ইদ। এদিন বাচ্চারা নতুন জামা পরিধান করে, বাড়িতে বিশেষ খাবার রান্না করা হয়। নাজাফের আশেপাশের অধিবাসীরা সেদিন তীর্থযাত্রীদের শরবত, পানি, ফলমূল পরিবেশন করে৷ অনেক স্থানে গণ-বিবাহের আয়োজন করা হয়। কারণ সাধারণ ইরাকিরা মনে করে এদিন বেশ ফজিলত পূর্ণ, তাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে নবদম্পতির মঙ্গল হবে।
ইন্দোনেশিয়া : গারেবেগ উৎসব
‘গারেবেগ’ একটি জাভানিজ শব্দ, যার অর্থ ‘সঙ্গ দেয়া’ বা ‘অনুসরণ করা’। ১৬শ-১৭শ শতকের দিকে জাভার মাতারাম সালতানাত যুগে সুলতান আগুং এর শাসনামলে এই শোভাযাত্রার সূচনা হয়েছিল। মূলত ইসলামিক সংস্কৃতির সাথে প্রাক-ইসলামিক জাভানিজ রাজকীয় ঐতিহ্যকে মেলবন্ধন হলো এই শোভাযাত্রা। প্রতি বছর ৩টি প্রধান গারেবেগ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘গারেবেগ মুলুদ’। শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ‘গারেবেগ শাওয়াল’। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে ইদুল আজহা উপলক্ষ্যে ‘গারেবেগ বেসার’।
গারেবেগ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হলো ‘গুনুঙ্গান’—চালের পিঠা, ফল, সবজি ও ডিম দিয়ে তৈরি বিশাল বড় খাবারের স্তূপ। দেখতে অনেকটা পাহাড়ের মতো মনে হয়। গারেবেগের দিন শহরের প্রধান মসজিদগুলোতে রাজকীয় কর্মচারীরা গুনুঙ্গান বয়ে নিয়ে যায়। ধর্মীয় প্রার্থনা শেষে সাধারণ জনগণের মাঝে পরে তা বিলিয়ে দেয়া হয়। সাধারণ জাভানিজ মুসলিমরা বিশ্বাস করে গুনুঙ্গান খেলে রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই মানুষ গারেবেগের দিন রাস্তায় জড়ো হয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে, নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে উৎসবটি পালন করে৷
[ad_2]
Source link