Homeদেশের গণমাধ্যমেপ্রতারণার অভিযোগে মা-মেয়ে গ্রেফতার

প্রতারণার অভিযোগে মা-মেয়ে গ্রেফতার

[ad_1]

রাজধানীর নিউমাকের্ট এলাকায় অপহরণের নাটক সাজিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে এলিফ্যান্ট রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেফতার মা-মেয়ে হলো— বিথী হাওয়া ওরফে বিবী হাওয়া (৩৮) ও মেয়ে সুরভী সুলতানা (২০)। 

ডিসি তালেবুর রহমান জানান, সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী সৈকত আলী  নিউমার্কেট এলাকার মিনিতা প্লাজা নামের একটি শপিং সেন্টারে ঘড়ির দোকান রয়েছে। গ্রেফতার বিথী ও সুরুভী সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তারা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল সৈকতের দোকানে ঘড়ি কিনতে গেলে তাদের সঙ্গে সৈকতের স্ত্রীর পরিচয় হয়। এসময় সৈকতের স্ত্রীকে নিজের মেয়ে বলে সম্বোধন করে। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনে তারা যোগাযোগ স্থাপন করে। এরপর গত ২০ মার্চ সৈকতের দোকানে বিথী গিয়ে তার মেয়ে সুরভীকে সেলসম্যান হিসেবে দোকানে কাজে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সৈকত সুরভীকে কাজে নেন। কিন্তু সুরভীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ার সৈকত তাকে দোকানে আসতে নিষেধ করে।

এরপর গত ২২ মার্চ নিষেধ করার পরও সুরভী দোকানে আসে এবং অসুস্থতার কথা বলে কিছু সময় পর চলে যেতে চাইলে বিকাল ৫টায় সৈকত সুরভীকে বাসে তুলে দেন। ওই দিন রাত অনুমানিক ৮টায় বিথী কল করে সৈকতকে জানায় তার মেয়ে (সুরভী) এখনও বাসায় যায়নি এবং তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর কিছু সময় পর বিথী পুনরায় ফোন করে জানায় তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে এবং অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করছে। 

এজাহারে আরও বলা হয়, যেহেতু সুরভী তার দোকানে কাজ করতে গিয়ে হারিয়েছে তাই তার মেয়েকে ওই মুক্তিপণের টাকা দিয়ে উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী সময়ে দুপুর আনুমানিক ১২টা ৪০ মিনিটে সুরুভী, সৈকত ও তার স্ত্রীকে জানায়, সে কৌশলে পালিয়ে এসেছে। এসময় অপরিচিত ফোন থেকে কল করে সৈকতের স্ত্রীকে জানানো হয় সুরভীর মাকে অপহরণকারীরা আটক করে রেখেছে এবং সে যদি আসে তাহলে তাকে নিয়ে সুরভীর মাকে উদ্ধার করা যাবে। সৈকতের স্ত্রী ঘটনাস্থলে যেতে না চাইলে তাকে ফোন করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তাছাড়া টাকা না দিলে সৈকতের ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেন। 

থানা পুলিশের বরাত দিয়ে ডিসি জানায়, মামলা দায়ের পর থানার একটি দল তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায়  দ্রুত তাদের অবস্থান সনাক্ত করে এবং এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিবী হাওয়া ও সুরভী সুলতানাকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ওই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রটির সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশের এই কর্মকর্তা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত