Homeঅর্থনীতিঅর্থ পাচারকারীদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে: গভর্নর

অর্থ পাচারকারীদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে: গভর্নর

[ad_1]

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং ভবিষ্যতে অর্থপাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা অর্থপাচার করেছে, তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।’ এ লক্ষ্যে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৯ এপ্রিল) মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

গভর্নর বলেন, ‘ইসলামি ব্যাংকিং খাতে মৌলিক সংস্কার আনা হবে। বর্তমানে অনেকগুলো ছোট ও সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এগুলো একীভূত করে দুটি বড় ইসলামি ব্যাংক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইসলামি ব্যাংকের জন্য পৃথক আইন ও তদারকি কাঠামো তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক উত্তম রীতিনীতির আলোকে এই খাতকে পুনর্গঠন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব ব্যাংকে অনিয়ম ধরা পড়েছে, সেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩টি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে এবং আরও একটি ব্যাংক স্বেচ্ছায় পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধনী এনে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ এবং তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।’

ড. মনসুর স্বীকার করেন, ব্যাংক খাতের সমস্যার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও দায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপ রয়েছে। ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন বন্ধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও শক্তিশালী ও স্বায়ত্তশাসিত করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে আগাম অনিয়ম শনাক্ত করা সম্ভব হয়।’

তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি কার্যক্রমকে আরও আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। রিপোর্টিং সিস্টেম পুরোপুরি অনলাইনে আনা হবে এবং ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে।

গভর্নরের ভাষায়, ‘রাজনীতির পালাবদল হলেও ব্যাংক খাতের সংস্কার থেমে থাকা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন অপরিহার্য।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত