Homeদেশের গণমাধ্যমেআক্তারুলের দুটি কিডনিই নষ্ট, প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন অর্থ

আক্তারুলের দুটি কিডনিই নষ্ট, প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন অর্থ

[ad_1]

দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নের মিয়াকুন্ডু গ্রামের আহমেদ মোল্যার ছেলে আক্তারুল ইসলামের (২৩)। কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে ২ দিন ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে।

ডায়ালাইসিস না করা গেলে অসুস্থতা বেড়ে গিয়ে হাত-পা ফুলে হাঁটা-চলা বন্ধ হয়ে যায়। গত ৪ বছর ধরে ডায়ালাইসিস করাতে গিয়ে তার বাবার সব জমি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পরিবারে উপার্জন অক্ষম বৃদ্ধ বাবা ও দিনমজুর ভাইয়ের সংসারে এখন আর মিলছে না অর্থ। এখন মানুষের সহায়তায় চিকিৎসা করাতে হয়। বর্তমানে খুবই দুর্দশার মধ্যে দিন পার করছেন আক্তারুল। ২০২০ সালে এই কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তিনি। ২০২৪ সালে ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে আক্তারুল ইসলাম পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শেষ করেছেন। শারিরীক অসুস্থতা ও অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর ভর্তি হতে পারেননি তিনি।

তার ৪ বছরের ছোট্ট একটা ফুটফুটে মেয়ে রয়েছে। আক্তারুলের স্ত্রী তার একটি কিডনি স্বামীকে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তিনি। ফলে চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন আক্তারুল ও তার পরিবার।

আক্তারুল ইসলাম জানান, পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির পর অন্যদের সহযোগিতা ও ঋণ করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। তার স্ত্রী নিজের একটি কিডনি দান করতে চেয়েছেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে কিডনি ম্যাচ করেছে।

তিনি আরও জানান, গত ৫ মাস ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কিডনি ‘ম্যাচ’ সংক্রান্ত বিভিন্ন টেস্ট সম্পন্ন করেছেন ও আইনগত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ের সামর্থ্য না থাকায় সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সমাজের মানবিক বোধ সম্পন্ন বিত্তশালী ও সহানুভূতিশীল মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে না দাঁড়ালে কোনো কিছুই সম্ভব হবে না।

আক্তারুল বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় হলে আমার অপারেশন করবেন শ্যামলী সিকেডি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কামরুল ইসলাম। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন তিনি। সমাজের সবাই মিলে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলে নতুন করে জীবন ফিরে পাবো আমি।

ফুরসন্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদার বলেন, ব্যক্তিভাবে আক্তারুল ইসলামকে চিনি। সে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত। বিভিন্ন স্থান থেকে ইতোমধ্যে সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।

সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম- মো. আক্তারুল ইসলাম (নিজে), বিকাশ, নগদ, রকেট (০১৯৮০৫৮৭৩২৬-পার্সোনাল), ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইসলামী ব্যাংক- অ/প-২০৫০১৭৫০২০৪১০৯২১৭.



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত