Homeদেশের গণমাধ্যমেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা ল্যাব খোলা রাখা উচিত: জয়নাল আবেদিন

সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা ল্যাব খোলা রাখা উচিত: জয়নাল আবেদিন

[ad_1]

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো বলেছেন, দেশের জেলা-উপজেলাসহ সব বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘণ্টা ল্যাব খোলা রাখা উচিত। এক্ষেত্রে তিনটি রোটেশন রাখা উচিত। যেন পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেজাল্ট পাওয়া যায়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালী নিপসম অডিটোরিয়ামে বিশ্ব ল্যাবরেটরি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নাল আবেদিন টিটো বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়েও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায়। সঠিক রোগ নির্ণয় মানুষের জীবন বাচিয়ে দিতে পারে। তাই দক্ষতার সঙ্গে এবং সারাদেশে রোগীর পরীক্ষা সহজলভ্য করা উচিত।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সরকার ভয় পেতে পারে যে সরকারের টাকা শেষ হবে। সরকার যদি এসব প্রতিষ্ঠানের আয়কে অর্থ মন্ত্রণালয়ে না পাঠিয়ে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করার সুযোগ দেয় তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো সেই আয় থেকে নিজেদের বেতন দিয়ে উল্টো রাজস্ব আয় করতে পারে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্ব জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেছে। সে তুলনায় আমাদের দেশ বেশি এগোতে পারেনি। প্রতিনিয়ত পৃথিবী আপগ্রেড হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোনোর জন্য যে নিয়মিত সরকারি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তা আমাদের দেশে হয় বলে জানা নেই। তা চিকিৎসক, নার্স কিংবা টেকনোলজিস্ট কারও জন্য নেই।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগ নির্ণয়ের সেবায় চরম জনবল সংকট থাকলেও প্রায় ৪০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট এখনো বেকার। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই বৈপরীত্য শুধু স্বাস্থ্যসেবার মান কমাচ্ছে না, চিকিৎসার খরচও বাড়াচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, উপজেলাসহ দেশের সব হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে ২৪ ঘণ্টা রোগ নির্ণয় সেবা চালু করা গেলে এই সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। একই সঙ্গে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি, ঝুঁকি ভাতা এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি ওঠে।

আলোচনায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক ল্যাবেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো ব্যবহার করা যায় না। ফলে রিজেন্টস নষ্ট হয়, মেশিন অলস পড়ে থাকে। অথচ রোগের শুরুতেই যদি নির্ভুল পরীক্ষা হয়, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

বক্তারা অভিযোগ করেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করেছেন, সেই টেকনোলজিস্টরা এখনো ন্যায্য মর্যাদা পাননি। অথচ চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন চিকিৎসকের বিপরীতে পাঁচজন টেকনোলজিস্ট থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে সে অনুপাতে নিয়োগ নেই। বক্তারা বলেন, দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ পুরোনো দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমেরিকান রেজিস্টার্ড সায়েন্টিস্ট মো. সোহেল রানা। প্রধান অতিথি ছিলেন নিপসম পরিচালক ডা. জিয়াউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. জয়নাল আবেদিন টিটো, আইএইচটি ঢাকা’র অধ্যক্ষ ডা. মুজিব উদ্দিন ও সাইক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবু মু ইয়াহইয়া হোসেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউকে শিক্ষার্থী ও আমেরিকান রেজিস্টার্ড সায়েন্টিস্ট আবু বকর সিদ্দিক। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ এবং সেক্রেটারি রিপন সিকদারসহ পেশাজীবী নেতারা।

এএএম/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত