[ad_1]
২০২২ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। তারপর কেটে গেছে প্রায় তিন বছর। মাঝে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দলে দেখা মিললেও, সাদা পোশাকে জাতীয় দলের দরজায় যেন বারবারই ফিরে আসছিল হতাশার উত্তর। তবে অবশেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিল পুরনো ঠিকানায় ফেরার সুযোগ।
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন বিজয়। ৮৭৪ রানের পাহাড় গড়ার পথে ব্যাটিং গড় দাঁড়িয়েছে ৭৯.৪৫—যা বলে দেয়, ইনিংস বড় করতে এখন তিনি অনেক পরিণত। ৪টি করে শতক ও অর্ধশতকের সেই ধারাবাহিকতা নজর কেড়েছে নির্বাচকদের।
বিজয়ের দলে ফেরা নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান যে এতদিন জাতীয় দলে যাদের ওপেনিং করানো হয়েছে, তাদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে বিসিবি। তাদের আউটের ধরন নিয়েও বিশ্লেষণ করেছে ক্রিকেটর বোর্ড। অন্যদিকে বিজয় দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে, তাই তাকে দলে নেওয়াটা সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র। একটু দেরি হলেও, সে তার প্রাপ্যটা পেয়েছে বলে মনে করেন টাইগারদের প্রধান নির্বাচক।
এদিকে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে চার স্পিনার, যার মধ্যে নতুন মুখ তানভীর ইসলাম। চার স্পিনার থাকায় একাদশ গঠনে বিকল্প বেড়েছে বলেও জানান লিপু।
তিনি বলেন একাদশ ঠিক করার সময় উইকেট বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিন্তু বাড়তি স্পিন অপশন দলকে কৌশলগত সুবিধা দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
তানভীর ইসলামের জায়গা করে নেওয়ার কারণে আরেক স্পিনার হাসান মুরাদ এই সিরিজে স্কোয়াডে জায়গা পাননি। তবে নির্বাচকরা আশ্বাস দিয়েছেন, নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ‘এ’ দলে তাকে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্মকে মূল্যায়ন করে জাতীয় দলে ডাক—এনামুল হক বিজয়ের ফিরে আসা যেন হয়ে উঠল এক বাস্তব উদাহরণ।
[ad_2]
Source link