নাটকীয় উত্তেজনা আর একের পর এক পাল্টাপাল্টি আক্রমণের শেষে, জুলস কুন্দের শেষ মুহূর্তের গোলে এল ক্লাসিকো ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রে’র শিরোপা ছিনিয়ে নিল বার্সেলোনা। পেদ্রির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মাদ্রিদ ম্যাচে ফিরে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও চুয়ামেনির দুর্দান্ত গোলে, তবে বার্সা ফেরান তোরেসের মাধ্যমে সমতা আনে। অতিরিক্ত সময়ে কুন্দের জয়সূচক গোলেই শেষ হাসি হাসে হান্সি ফ্লিকের দল।
জুলস কুন্দের অতিরিক্ত সময়ে করা দুর্দান্ত গোলের মাধ্যমে সেভিয়ায় রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রে শিরোপা জয় করলো বার্সেলোনা। নাটকীয় এই ক্লাসিকোতে ৯০ মিনিটে ২-২ গোলে সমতা থাকার পর, যখন ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ানোর সম্ভাবনা ছিল, তখন ২২ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে বল জালে পাঠান বার্সেলোনার ফরাসি ডিফেন্ডার কুন্দে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বার্সা ছিল স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকা দল। পুরো হাফে রিয়ালকে নাকানি চুবানি খাইয়ে লামিন ইয়ামালের কাটব্যাক থেকে পেদ্রি প্রথম স্পর্শেই দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামা কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদকে প্রাণ ফিরিয়ে দেন। তিনি একটি ফ্রি-কিক থেকে পোস্টের সাহায্যে দুর্দান্তভাবে গোল করে সমতা ফেরান। এরপর আরদা গুলেরের কর্নার থেকে হেডে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন অরেলিয়ান চুয়ামেনি।
কিন্তু বার্সেলোনা সহজে হার মানার পাত্র নয়। ইয়ামালের লম্বা পাস ধরে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে কাটিয়ে গোল করেন ফেরান তোরেস, আবারও সমতা ফেরান তারা।
ইনজুরি টাইমে বার্সেলোনা মনে করেছিল তারা পেনাল্টির মাধ্যমে ম্যাচ জয় করতে যাচ্ছে। রাফিনহার ওপর রাউল অ্যাসেনসিওর ট্যাকলকে ঘিরে পেনাল্টির সিদ্ধান্তও এসেছিল। তবে দীর্ঘ ভিএআর চেকের পর রেফারি সিদ্ধান্ত বদলে রাফিনহাকে ডাইভিংয়ের জন্য হলুদ কার্ড দেন।
ফলে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানেই কুন্দে তার মৌসুমের চতুর্থ গোল করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন। এদিকে ম্যাচের শেষদিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। কিলিয়ান এমবাপ্পে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে সরানোর চেষ্টা করলে রেফারি তার বিরুদ্ধে ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন। এতে রিয়াল বেঞ্চ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং আন্তোনিও রুডিগার মাঠে ছুটে আসেন। রুডিগার রেফারির দিকে কিছু ছুঁড়ে মারার অভিযোগে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।
এরই সাথে শেষ হয় ২০১৪ সালের পর প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টে হওয়া ক্লাসিকো ফাইনাল, যেখানে বার্সেলোনা উচ্ছ্বাসে ভাসল আর মাদ্রিদ হতাশায় ডুবল।