Homeজাতীয়নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ভারত-পাকিস্তান সফর না করার পরামর্শ

নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ভারত-পাকিস্তান সফর না করার পরামর্শ

[ad_1]

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনও ‘ভ্রমণ সতর্কতা’ জারি করা হয়নি। কিন্তু নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ওই দেশগুলো সফর না করাই ভালো।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনও ভ্রমণ সতর্কতা ইস্যু করেনি। তবে আমি মনে করি, যাদের নিতান্ত প্রয়োজন নেই, এ সংঘাতের সময়ে বরং ভ্রমণ না করাই ভালো।’

ভারতে বাংলাদেশি গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’এখন পর্যন্ত এটি আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। এর বাইরে আনুষ্ঠানিক পত্র আমাদের দেওয়া হয়নি। এছাড়া আনুষ্ঠানিক পত্র দিলেও আমাদের দেখতে হবে যে আসলে তারা বাংলাদেশি লোক কিনা। যদি বাংলাদেশি মানুষ হয়, তবে অবশ্যই আমরা ফেরত নেবো। কিন্তু বাংলাদেশি মানুষ কিনা সেটি প্রমাণসাপেক্ষ। কারণ ভারতে প্রচুর বাংলা ভাষাভাষী আছে। বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশের মানুষ, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।’

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের প্রভাব 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নিজেদের ভালোর রাস্তা বের করে নিতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘আধুনিক জামানায় সব কিছু সবাইকে কমবেশি প্রভাবিত করে। কাজেই কোনও কিছু আমাদের প্রভাবিত করবে না- এটি আমি বলবো না। তাদের সংঘাত আমাদের সরাসরি প্রভাবিত করার কিছু নেই, কারণ আমরা কোনও পক্ষ নই।’

যেকোনও সংঘাতের প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত নই। আমাদের যদি স্বার্থ থাকে তাদের কাছ থেকে তুলা আমদানি করার, সেটি আমরা করবো। ভারত আমাদের যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিচ্ছিল অনেক দিন যাবৎ, সেটি তারা প্রত্যাহার করেছে। আমাদের এই পরিস্থিতিতে কী করা দরকার, সেটি বের করে নিতে হবে।’

দ্বন্দ্ব নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান

মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। আমরা শান্তি চাই দক্ষিণ এশিয়ায়। আমরা জানি যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতময় অবস্থান আছে। কিন্তু আমরা চাই না যে এখানে বড় কোনও সংঘাত সৃষ্টি হোক, যেটা এ অঞ্চলের মানুষের বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিদ্যমান এবং আমরা চাইবো তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করে ফেলুক। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দুই-একটি দেশের কাছ থেকে এসেছে। যেভাবেই হোক, মধ্যস্থতা বা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আমরা চাই উত্তেজনা প্রশমিত হোক এবং শান্তি বজায় থাকুক।’

মধ্যস্থতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এ মুহূর্তে আমাদের মধ্যস্থতার কোনও ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আমরা চাইবো তারা নিজেরা সমাধান করে ফেলুক। তারা যদি আমাদের সহায়তা চায় যে আপনারা মধ্যস্থতা করুন, তাহলে আমরা হয়তো যাবো। তার আগে আগ বাড়িয়ে আমরা কিছু করতে চাই না।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত