তিতাস গ্যাস স্মার্ট প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্পের শুরুতে গ্রাহকদের অসাধু ব্যক্তি বা চক্রের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট পরামর্শক প্রতিনিধিরা গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে জরিপ চালাবেন, তবে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত প্রতিনিধি পরিচয়পত্র বহন করবেন এবং প্রয়োজনে তিতাসের হটলাইন ১৬৪৯৬-এ যোগাযোগ করে তা যাচাই করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও সাশ্রয় নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার ও তিতাস গ্যাসের যৌথ অর্থায়নে এক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর, টঙ্গী, সাভার, মানিকগঞ্জ, চন্দ্রা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ভালুকা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর এবং নেত্রকোনা— এই এলাকাগুলোর আবাসিক গ্রাহকদের জন্য মিটার বসানোর কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
তিতাস জানায়, স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রকৃত ব্যবহার অনুযায়ী বিল দিতে পারবেন, ফলে গ্যাসের অপচয় কমবে এবং খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মিটার রিচার্জ করা যাবে এবং গ্যাস শেষ হয়ে গেলে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহারের সুবিধাও থাকবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২৩ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত মনোনীত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা গ্রাহকের আঙ্গিনায় গিয়ে জরিপ পরিচালনা করবেন। এ সময় গ্যাস বিল বই এবং চুলা দেখাতে গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
তিতাস আরও জানিয়েছে, স্মার্ট মিটার স্থাপনের জন্য গ্রাহকদের কোনও এককালীন অর্থ প্রদান করতে হবে না। শুধুমাত্র মাসিক মিটার ভাড়া রিচার্জের সময় কেটে নেওয়া হবে। তবে যদি অভ্যন্তরীণ গ্যাস লাইনে কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তা তিতাস অনুমোদিত ঠিকাদার দিয়ে গ্রাহককে নিজ খরচে করাতে হবে।