চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ সরকার বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে পরিশোধ করেছে ৩২১ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) পুরো বছরের পরিশোধের পরিমাণ ৩৩৭ কোটি ডলারের প্রায় সমান। অর্থাৎ, সময়ের আগেই প্রায় পূর্ণ পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত ‘বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি’ বিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে সরকার ২০১ কোটি ডলার আসল এবং ১২০ কোটি ডলার সুদ পরিশোধ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৬৪ কোটি ডলার।
অপরদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে নতুন করে বৈদেশিক ঋণ এসেছে ৪৮১ কোটি ডলার, যা সুদ ও আসল পরিশোধের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো— বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি কমে এসেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ সময় বাংলাদেশ মাত্র ৩০০ কোটি ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৭২৪ কোটি ডলার—অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম।
ঋণ ছাড়ের দিক থেকেও প্রধান অবদান রাখে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতিষ্ঠানটি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে। এরপর রয়েছে বিশ্বব্যাংক (১০৭ কোটি ডলার) এবং জাপান (৮৯ কোটি ডলার)।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈদেশিক সহায়তা প্রবাহে এই ধীরগতি এবং ঋণ পরিশোধের চাপ রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।