২৮তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্পিনার জেডেন রিচার্ড লেনক্সে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। প্রথম ম্যাচেই কিউই ‘এ’ দলের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দিনের শুরুতে বোলারদের তোপে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে দেন খালেদ আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা। পরে ৭ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন সোহানরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৬ বল বাকি রেখেই জিতেছে স্বাগতিকরা। আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৩৪.৩ ওভারে ১৪৭ রানে আটকে যায় নিউজিল্যান্ড। রান তাড়ায় ২৭.২ ওভারে জয় তুলে নেয় নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দল। ২৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন খালেদ।
সকাল ৯টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন কিউই ‘এ’ দলের অধিনায়ক নিক কেলি। খালেদ ও শরিফুলের প্রথম স্পেলের বোলিং নিশ্চিতভাবেই তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছিল বটে। ততক্ষণে তার মনের ভেতরকার অবস্থা তো আর জানা যায়নি। তবে দলের স্কোর কার্ড ঠিকই সেই ব্যথার সাক্ষী হয়ে আছে। প্রথম ৭ ওভারেই নেই ৪ ব্যাটার। কেউই রানের খাতা খোলার মতো সময়টুকুও পাননি। খালেদ এক ওভারেই নেন জোড়া উইকেট। আর বাকি দুজনকে ফেরান শরিফুল। চার জনের দলে ছিলেন অধিনায়ক কেলিও। ৬-এ নামা জশ ক্লার্কসনকে একপাশে রেখে রানের চাকা এগিয়ে নেন ওপেনার রিস মারিয়ু।
৩৭ রানের জুটি ভেঙে ক্লার্কসনকে (৭) ফেরান এবাদত হোসেন। পরের গল্পটা তানভীর ইসলামের। ওপেনার মারিয়ুকে ব্যক্তিগত ৪২ রানে বোকা বানিয়ে স্টাম্পিংয়ে ফেরান তানভীর। মিচেল হেয়কেও ফেরান তিনি। কিন্তু শেষ দিকে একপাশে দাপুটে ব্যাটিং করেন ৮ এ নামা ডিন ফক্সক্রফট। তার ৭২ রানের ইনিংসে কিউইদের পুঁজি হয় ১৪৭।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। তিনে নেমে ৩৮ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয়। মিডল অর্ডারে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অধিনায়ক সোহানের ব্যাটে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন অঙ্কন।