ঘোষণার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে আমির খানের ‘সিতারে জমিন পার’। গত মাসেই জানা গিয়েছিল আগামী ২০ জুন মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এবার প্রকাশ করা হলো সিনেমার ফার্স্ট লুক পোস্টার। এতে ১০ জন নতুন মুখ নিয়ে হাজির হয়েছেন আমির খান; যাঁদের প্রত্যেকেই অপেক্ষায় আছেন বড় পর্দায় অভিষেকের। তাঁরা হলেন আরৌশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সাম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বানসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি সাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র ও সিমরান মঙ্গেশকর।
আমির খানকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে সিতারে জমিন পারের পোস্টার। তাঁর পরনে বাস্কেটবল জার্সি ও ট্র্যাক প্যান্ট, গলায় ঝুলছে হুইসেল। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ১০ জন, যাঁদের প্রত্যেকের মধ্যেই ফুটে উঠেছে প্রাণোচ্ছলতা, কৌতূহল আর সাহসিকতার ছাপ।
দেড় যুগ আগে মুক্তি পাওয়া ‘তারে জমিন পার’ সিনেমার সিকুয়েল সিতারে জমিন পার। প্রথম সিনেমার গল্পের কেন্দ্রে ছিল ইশান নামের এক শিশু। পড়াশোনায় সে অমনোযোগী, বারবার পরীক্ষায় ফেল করে, মা-বাবার কথা শোনায় আগ্রহ নেই, সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে পারে না। ফলে কপালে জোটে মা-বাবার কড়া শাসন আর স্কুলে শিক্ষকদের উপহাস। এই শিশুর ভাগ্য আমূল বদলে যায় আর্টের শিক্ষক নিকুম্বের কল্যাণে। সিতারে জমিন পার সিনেমাতেও আমিরকে দেখা যাবে গুরুর ভূমিকায়। তবে আর্টের শিক্ষক নয়, এবার তিনি বাস্কেটবল কোচ। চরিত্রের নাম গুলশান। প্যারালিম্পিকের জন্য প্রতিবন্ধীদের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেয় সে।
আমির অভিনীত গুলশান চরিত্রটি তারে জামিন পারের নিকুম্ব চরিত্রের ঠিক উল্টো। চলনে-বলনে বেশ রূঢ়। সবাইকে অপমান করে আনন্দ পায়। তার রাজনৈতিক মতাদর্শও ভুলে ভরা। নিজের স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিনিয়ত। সিনিয়র কোচদের মারধর করে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একদল মানুষ কীভাবে তাকে একজন ভালো মানুষ হতে শেখায়, সেটাই দেখা যাবে সিনেমায়।
তারে জমিন পার পরিচালনা করেছিলেন আমির খান। তবে সিকুয়েলটি পরিচালনা করেছেন আর এস প্রসন্ন। আমির খান প্রোডাকশন থেকে নির্মিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি সুজা, দারশিল সাফারি, সোনালি কুলকার্নি, ব্রিজেন্দ্র কালা, সুরেশ মেনন প্রমুখ।