[ad_1]
সত্যিকার মূল্যবান বস্তু কী
এখন সময় দানের। দান আমাদের সেসব দরিদ্রের কথা মনে করিয়ে দেয়, যাঁরা তাঁদের ধৈর্যের কারণে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। এখন সময় জ্ঞান ভাগাভাগির; উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের অহংকারে অন্যদের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করা উচিত নয়। এখন সময় শিশু ও দুর্বলদের প্রতি দয়া প্রদর্শনের, কারণ তাদের প্রার্থনা রিজিক বয়ে আনে।
নামাজকে ভুলবেন না, কারণ এটি মুমিন ও আল্লাহর মধ্যে এতখানি দূরত্ব কমায়, যতখানি কপাল ও জায়নামাজের মধ্যে দূরত্ব। সুন্নাহর ছোট ছোট অংশ পুনরুজ্জীবিত করুন, যা আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে। আমাদের ইচ্ছা, মহত্ত্বের আকাঙ্ক্ষা, অপচয়শীল সম্পদ, অবিরাম পার্টি ও ফ্যাশনের প্রতি আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া আমাদের এখন আর উপায় নেই।
সঠিক পথে আছি কি
দুনিয়া ও আখিরাত দুটি পরস্পরবিরোধী শত্রু ও ভিন্ন পথ। যে দুনিয়াকে ভালোবাসে এবং তার প্রতি ঝোঁকে, সে আখিরাতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে এবং তার শত্রু হয়। এ দুটি পূর্ব ও পশ্চিমের মতো, যে যত একটির কাছে যায়, অন্যটি থেকে ততই দূরে সরে যায়। এরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। (নাহজুল বালাগা, হিকমত ১০৩)
আমাদের ভাবতে হবে, আমরা আল্লাহর পৃথিবীতে কী করছি? আমরা কি সত্যিকারের পথিকের মতো আচরণ করছি? আমরা কি আমাদের চারপাশের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল, নাকি আল্লাহর স্মরণের পরিবর্তে শুধু নিজেদের স্মরণীয় করে রাখতে চাই? দুনিয়া সাময়িক, আখিরাত চিরস্থায়ী। আমরা এই দুনিয়ার জন্য কতটা কাজ করছি, আর আখিরাতের জন্য কতটা? এই দুনিয়া সীমিত, কিন্তু আমরা যা করি, অনুভব করি, বলি ও কাজ করি, তা আখিরাতে প্রতিফলিত হবে। মৃত্যুর পর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না, কারণ সেই সুযোগ এখনই।
‘ডিসকভারিং ইসলাম’ আর্কাইভ থেকে
[ad_2]
Source link