চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার বিপক্ষে না পড়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) কোচ লুইস এনরিকে। উল্টো তিনি খুশি যে প্রতিপক্ষ হচ্ছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান।
আর্সেনালের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের পর, ক্যাডেনা কাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনরিকে বলেন, ‘সত্যি বলতে, বার্সার বিপক্ষে ফাইনাল খেলা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হতো। যদি আমরা বিদায় নিতাম, তাহলে অবশ্যই চাইতাম বার্সা যেন ফাইনালে যায় এবং ট্রফি জেতে।’
২০১৫ সালে বার্সাকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো এই স্প্যানিশ কোচ এখন চেষ্টা করছেন নিজের সাবেক সেই সাফল্য পিএসজিতে ফিরিয়ে আনতে। আর এর মধ্য দিয়েই পিএসজিকে প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপার স্বাদ দিতে চান তিনি।
এনরিকের অধীনে এবার দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। শেষবার তারা ২০২০ সালে ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল।
তবে এবারের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হতে পারত তারই ভালোবাসার ক্লাব বার্সেলোনা। হ্যান্সি ফ্লিকের দল সান সিরোতে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে যখন ৬-৫ ব্যবধানে সামগ্রিক স্কোরে এগিয়ে ছিল, তবুও তাদের ভাগ্যে লেখা ছিল না ফাইনাল। ৯৩তম মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে দাভিদে ফ্রাতেসির গোলে ৭-৬ ব্যবধানে জয় পায় ইন্টার মিলান।
‘নিঃসন্দেহে কষ্ট পেয়েছি,’ বলেন এনরিকে বার্সার বিদায় প্রসঙ্গে। ‘সেমিফাইনালে ৬ গোল করেও যদি আপনি বাদ পড়েন, তাহলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। তারা অবশ্যই ফাইনালে উঠতে পারত এবং তেমনটাই প্রাপ্য ছিল তাদের।’
পিএসজিতে দ্বিতীয় মৌসুমে থাকা এনরিকে বলেন, ‘এটা এক রোমাঞ্চকর প্রজেক্ট। বার্সায় আমি একটা তৈরি দলকে আরও ভালো করতে গিয়েছিলাম। এখানে আমি নতুন করে দল গড়েছি—তরুণদের নিয়ে, যারা ধীরে ধীরে তারকা হয়ে উঠছে।’
এমনকি কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে ফ্রি ট্রান্সফারে চলে যাওয়ার পরও এই তরুণদের ওপর আস্থা রেখেছেন এনরিকে। ফলও মিলেছে হাতেনাতে—পিএসজি জিতেছে লিগ ওয়ান, ২৪ মে কুপ দে ফ্রান্সের ফাইনালে রেঁসের বিপক্ষে জিতলে জুটবে ডাবল, আর তারপর ৩১ মে মিউনিখে ইন্টারের বিপক্ষে সুযোগ ট্রেবল জয়ের।
‘আমার দলে এখন অনেক তারকা, এবং আমি দারুণ খুশি। এই দলটাই এখন আমার ভালো লাগার জায়গা,’— আত্মবিশ্বাসী গলায় বললেন লুইস এনরিকে।