ভারতের আপত্তির পরও পাকিস্তানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিশ্রুত ঋণ কর্মসূচির আওতায় ১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সেসঙ্গে জলবায়ু সহনশীলতা তহবিলের অধীনে নতুন করে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করেছে।
এক বিবৃতিতে আইএমএফ বলেছে, ‘চলমান কর্মসূচির আওতায় পাকিস্তান সরকারের নীতিগত প্রচেষ্টা ইতিমধ্যেই অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে এবং বৈশ্বিক প্রতিকূলতার মধ্যেও আস্থা পুনরুদ্ধারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
শুক্রবার ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির প্রথম পর্যালোচনা অনুমোদনের ফলে মোট ছাড় হল ২ বিলিয়ন ডলার। প্রথম কিস্তির ১ বিলিয়ন ডলার আগে ছাড় হয়েছে। তবে জলবায়ু সহনশীলতা তহবিল থেকে এখনও কোনো অর্থ ছাড় হয়নি।
এই সভার আগের পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত পাকিস্তানের জন্য ঋণ কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের কাছে আপত্তি তুলে ধরে। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ জানিয়ে ঋণ কর্মসূচি নিয়ে ‘বিস্তৃত পর্যালোচনা’ দাবি করে দেশটি।
সম্প্রতি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিন্দু পর্যটকদের ওপর এক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যার জেরে দুই দেশের মধ্যে গত তিন দশকের সবচেয়ে তীব্র সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
আইএমএফ বোর্ড সভায় ভারত দাবি করেছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানের এই কর্মসূচি ও ঋণের অর্থ সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কার যথেষ্ট বাস্তবতা আছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইএমএফ কর্মসূচি নস্যাৎ করার ভারতের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বর্তমান উত্তেজনার আগেই ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও ১.৪ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল— উভয় কর্মসূচি নিয়ে স্টাফ-পর্যায়ের সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছিল।