Homeদেশের গণমাধ্যমেগাইবান্ধায় আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, নিয়ে গেল গ্রিল-রড

গাইবান্ধায় আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, নিয়ে গেল গ্রিল-রড

[ad_1]

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল বের করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জানালার গ্রিল ও লোহার রড খুলে গেছে হামলাকারীরা।

শনিবার (১০ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মার্কেট ভবনের দোতলার দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক হামলা-ভাঙচুরে অংশ নেন। তবে তাদের দলীয় পরিচয় জানা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও তার ভাই পলাশবাড়ীর সাবেক পৌর মেয়র গোলাম সারোয়ার সরকারি বরাদ্দের টাকায় বঙ্গবন্ধুর নামে মার্কেট নির্মাণ করে নিচতলায় দোকানঘর ভাড়া এবং দুই তলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় স্থাপন করেন।

মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, শনিবার বিকেলে স্কুল ড্রেস পরা পাঁচ-ছয়জন যুবক আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আসে। তারা হাতুড়ি দিয়ে দরজা-জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ওপর থেকে নিচে ফেলে দেয় তারা। পরে সেগুলোতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর খুলে ফেলা জানালার গ্রিল ও লোহার রড নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। তবে ওই যুবকদের পরিচয় এবং তাদের চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, স্কুলব্যাগ কাঁধে দুই যুবক জানালার গ্রিল নিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছেন। তাদের পেছনে আরও দুজনকে হাতে লোহার রড নিয়ে কার্যালয় থেকে বের হতে দেখা যায়।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পলাশবাড়ী শহরের চৌমাথা মোড়ে ব্লকেড এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমাথা মোড়ে এসে শেষ হয়। তবে মিছিলে অংশ নেওয়া কেউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়নি বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলার মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা শেখ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পালিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি শেষ করেছি। আমাদের মিছিলে অংশ নেওয়া কেউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেনি। ছাত্র-জনতার কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়।

পলাশবাড়ী উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি শামীম হোসেন বলেন, অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। তবে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় আমাদের কোনও নেতাকর্মী জড়িত নয়।

পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভুট্টু কালবেলাকে বলেন, ‌বিকেলে উপজেলার চৌমাথা মোড়ে ছাত্র-জনতার ব্লকেড ও অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। পরে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার খবর পাই। হামলাকারীরা তালা ভেঙে সেখানে থাকা চেয়ার-টেবিল বের করে আগুন দিয়ে চলে যায়। তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানাতে পারেননি ওই এলাকার লোকজন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত