Homeদেশের গণমাধ্যমেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাবি ছাত্রদল নেতা খুন, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাবি ছাত্রদল নেতা খুন, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

[ad_1]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হয়েছেন।

একদল দুর্বৃত্তের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে তার ওপর হামলায় তিনি খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সহপাঠীরা শাহরিয়ার আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। থাকতেন এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

শাহরিয়ার আলমের সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম রাফি বলেন, “রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্ত মঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এ সময় অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি হয় তাদের মধ্যে। এক পর্যায়ে সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।”

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক।

তিনি জানান, রাতে শাহরিয়ার আলমের সহপাঠীরা রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


শাহরিয়ার আলমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। 


এ ঘটনায় রাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসের হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন হল ঘুরে সন্ত্রাসবাদী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ভাই হত্যার বিচার চাই’ স্লোগান দেন।।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ ঢাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়ার কথা ফেসবুকে বলছেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত