ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে এই ঘোষণা দেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
নাসির বলেন, সাম্য হত্যার বিচারের দাবি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় রাজু ভাষ্কর্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে রাত ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে তাৎক্ষণিক মিছিল বের করেন তারা।
মিছিলে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, ভিসি-প্রক্টর কি করে’ -ইত্যাদি স্লোগান দেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে দেখামাত্র উত্তেজিত হয়ে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মারা যান সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
তার সহপাঠী ও একই ঘটনায় আহত বায়েজিদ কালবেলাকে বলেন, রাত বারোটার দিকে আমরা তিন বন্ধু মিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দির সংলগ্ন গেটের পাশে ক্যান্টিনে আড্ডা শেষে বের হয়ে আসছিলাম। এসময় ৮-১০ জনের একটি দল আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের ছুরির আঘাতে সাম্যের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মেডিকেলে আনা হলে সে মারা যায়।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে শুনি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর কালবেলাকে বলেন, ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে তিনি মারা যান। আমরা এ বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি।