দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে ৮ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটসমূহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক কারবারি, দালাল চক্রের সদস্যসহ মোট ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৭টি গোলাবারুদ, ৫টি ককটেল, ৬টি হাতবোমা, বিপুল মাদক, দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, নকল খাদ্যদ্রব্য, চোরাই চিনি ও মসলা, অবৈধ ওষুধ ও অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলগুলোয় শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সেনা টহল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা শান্তিপূর্ণভাবে পালনে সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে সাধারণ মানুষকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী।