Homeদেশের গণমাধ্যমেবিদ্যালয়ে সংসার পেতেছেন প্রধান শিক্ষক দম্পতি!

বিদ্যালয়ে সংসার পেতেছেন প্রধান শিক্ষক দম্পতি!

[ad_1]

বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তরপূর্ব তক্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামাজ পড়ার স্থানে সংসার পাতার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে।

সরেজমিন জানা যায়, আমতলী উপজেলার উত্তরপূর্ব তক্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান মো. শাহজাহান তালুকদার। একই বিদ্যালয়ে তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করছেন তাছলিমা আক্তার। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকে শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, টাকা আদায়, স্বেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক দম্পতির পদত্যাগ দাবিও করছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা বলেন, প্রধান শিক্ষক শাহজাহান তালুকদার ২০০৩ সালে বিদ্যালয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কোনো নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে শিক্ষক দম্পতি বিদ্যালয়ের স্টোর রুমের পাশে নামাজের স্থানে হাঁড়িপাতিল, গ্যাসের চুলা, বিছানা বিছিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে সংসার পেতে বসেছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকসহ সিন্ডিকেট করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক কখনো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতেন না। এমনকি এসব অনিয়ম নিয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে উল্টো রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হুমকি-ধমকি ও নানাভাবে হয়রানি করা হতো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তেমন কিছু না, এখানে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় মাঝেমধ্যে তরকারি গরম করা হয়।

প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা তাছলিমা আক্তার বলেন, এখানে স্থায়ীভাবে থাকা হয় না, বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো হয়।

আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, দুপুরে খাবার তৈরি করা হয়, চুলা, হাঁড়িপাতিল এটা প্রায় স্কুলে রয়েছে। এটা স্থায়ী নয়।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত