Homeপ্রবাসের খবরমাসুদ আলী খানের সঙ্গে তিশার শেষ স্মৃতি

মাসুদ আলী খানের সঙ্গে তিশার শেষ স্মৃতি

[ad_1]

অনুরাগী ও সহকর্মীদের শোকসাগরে ভাসিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমালেন অভিনেতা মাসুদ আলী খান। খ্যাতিমান ও দর্শকনন্দিত এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর বিনোদন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে হারিয়ে অনুরাগী ও তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করছেন।

শুধু ভালো অভিনেতাই নয়, ব্যক্তিজীবনেও মাসুদ আলী খান ছিলেন একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। শুটিং স্পটে প্রত্যেকের এমনভাবে খোঁজ-খবর নিতেন তাতে তিনি সবার প্রিয় অভিভাবক ও আপনজন হয়ে গিয়েছিলেন। কারো কাছে তিনি ছিলেন বড় ভাইয়ের মতো, কারো কাছে বাবার মতো।

মাসুদ আলী খানের মৃত্যুর খবর শুনে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিচারণ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, “২০০৩ সালে আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমার ‘৬৯’ সিরিজ শুরু করি। সেখানে মাসুদ আলী খান আমার বাবার চরিত্রে ছিলেন। দেড়-দুই বছর আমাদের ‘৬৯’ -এর শুটিং চলে। ধীরে ধীরে উনি আমার বাবার মতোই হয়ে যান। সবশেষ তার সাথে যখন আমার দেখা হয়েছে একটা আ্যওয়ার্ড শোতে। তখন উনি হুইল চেয়ারে বসা। আমার হাতটা ধরে বললেন, ‘মা কি অবস্থা? কেমন আছিস? বাচ্চা কেমন আছে? সরয়ার কেমন আছে?’ আমি হাসি মুখে তার হাঁটুর কাছে বসে বললাম, সবাই ভালো আছে, বাবা। আলহামদুলিল্লা”!

শেষ স্মৃতির কথা জানিয়ে তিশা আরও লেখেন, ‘তার সাথে আমার শেষ স্মৃতিটি ছিল তার সেই হাসি মুখটি! আজ উনি এই পৃথিবীতে নেই। রেখে গেছেন অনেক স্মৃতি’।

মাসুদ আলী খান গতকাল (৩১ অক্টোবর) মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। প্রয়াত অভিনেতাকে মানিকগঞ্জের নিজ গ্রামে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন তার পরিবার।

পরিবার জানান, আজ (১ নভেম্বর) শুক্রবার বাদ জোহর মানিকগঞ্জের খান বানিয়াপাড়া গ্রামে মাসুদ আলী খানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ আলী খান। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তার মায়ের নাম সিতারা খাতুন। ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন মাসুদ আলী খান। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।মাসুদ আলী খানের সঙ্গে তিশার শেষ স্মৃতি

১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর নূরুল মোমেনের ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার অভিষেক হয়। সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন এই শিল্পী।

পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০০ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। ২০২৩ সালে এ অভিনেতাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত