বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও প্লাস্টিকসহ ছয় ধরণের পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধি-নিষেধ জারি (পোর্ট রেস্টিকশন) করেছে ভারত। আজ শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনা শনিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
নির্দেশনা অনুসারে ভারতে কোনো স্থলবন্দর দিয়েই বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরণের তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন না ভারতের ব্যবসায়ীরা। এইসব পণ্য কেবল নব সেবা (Nhava Sheva) এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই আমদানি করা যাবে।
এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, ফল এবং ফলের জুস, তুলা বা তুলার বর্জ্য এবং প্লাস্টিকজাত সামগ্রী আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের কোনো স্থলবন্দর কাস্টম (এলসিএস) বা ইন্ট্রিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে আমদানি করতে পারবে না ভারতের ব্যাবসায়ীরা। এ ছাড়া চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী (পশ্চিমবঙ্গ) এলসিএস দিয়ে এসব পণ্য আমাদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রঙ, ডাই, প্লাস্টিসাইজার ও গ্রানুল আমদানি করতে পারা যাবে মেঘালয়, ত্রিপুরা, ও মিজোরাম দিয়ে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথর গুঁড়া আমদানিতে কোনো বন্দর-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।
নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পণ্য পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত নয় বলেও জানানো হয়েছে।