ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর এবার তার ছেলের হাত ধরে পর্তুগিজ ফুটবলে নতুন আলো। বাবার পথেই এগিয়ে চলেছেন রোনালদো জুনিয়র। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে প্রথম গোলের স্বাদ পেলেন তিনি। শুধু একটি নয়, করলেন দুই গোল—আর সেই গোলেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ভ্লাতকো মার্কোভিচ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ দল।
রোববার ক্রোয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৩-২ গোলের জয় পায় পর্তুগাল। ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই বাঁ পায়ের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন জুনিয়র রোনালদো। গোল করার পর বাবার বিখ্যাত “সিইউউ” উদ্যাপন করতেও ভোলেননি তিনি—স্টেডিয়ামে তখন যেন ফিরে এল এক পুরনো রোনালদো-মুহূর্ত!
নম্বর ৭ জার্সি গায়ে খেলতে নামা এই তরুণ ফরোয়ার্ড প্রথমার্ধেই দ্বিতীয় গোলটি করেন মাথা দিয়ে, গোললাইন থেকে কাছাকাছি দূরত্বে। এরপর ৫৪তম মিনিটে তাঁকে তুলে নেওয়া হয় মাঠ থেকে। এই ম্যাচেই ছিল জাতীয় দলের হয়ে তার চতুর্থ ম্যাচ, আর তাতেই জোড়া গোল!
পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুশি গোপন করেনি। ইনস্টাগ্রামে লেখা হয়, ‘ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের প্রথম SIUUUU পর্তুগালের হয়ে!’
রোনালদো জুনিয়রের এমন পারফরম্যান্সে বাবার গর্বিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ২০০৩ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩৬ গোল করে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি রোনালদোর। এখন হয়তো অপেক্ষা, ছেলেও কি পারবেন বাবার মতো ইতিহাস গড়তে? সময়ই দেবে সেই উত্তর। তবে শুরুটা তো দারুণ!