গাইবান্ধায় বোরো ধান ঘরে তোলার সময় বৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। জেলায় কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে ডুবে গেছে ধান। একদিকে উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। তার ওপর পাকা ধান ভিজে কোয়ালিটি নষ্ট হওয়ায় ধানের দাম পাওয়া যাবে না। কৃষকের আশঙ্কা, পাওয়া যাবে না বীজের ধানও। যারা ধান কেটে বাড়িতে আনছেন তারাও বৃষ্টির কারণে ধান মাড়াই করতে না পারার কারণে পড়েছেন বিপাকে।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষকের সঙ্গে একমত পোষণ করে জানান, আবহাওয়া দেখে ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে গাইবান্ধার মাঠে মাঠে কৃষকদের ধান কাটা, মাড়াই ঝাড়াই শেষে ধান ঘরে তোলা ও চাল তৈরি করার জন্য সিদ্ধ করা ও শুকানোর মহোৎসব চলছে। এ বছর গাইবান্ধা জেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক বইছে।
কিন্তু গত দুদিনের আকস্মিক বৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। পানিতে ডুবে গেছে জমির ফসল। ভেঙে পড়ায় ধানের শীষ পানিতে ডুবে গেছে।
তালতলা এলাকার কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, “একদিকে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু গত ৫ দিনের কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে ভালো থাকার স্বপ্ন হাতছাড়া হয়ে গেল।”
পাকা ধান ভিজে কোয়ালিটি নষ্ট হওয়ায় ধানের দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে ঋণের চাপ এবং বছরের খাবার ও অর্থের জোগান নিয়ে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ।
উপ সহকারী কৃষি কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার সরকার বলেন, “ধান নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে আবহাওয়া দেখে ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।”
কৃষি অধিদফতরের দেয়া তথ্য মতে, গাইবান্ধা জেলায় এ বছর ১ লাখ ২৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও তা আবাদ হয়েছে আরো ৫ হেক্টর জমিতে।