ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গত ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ আছে। দুর্ভিক্ষে থাকা গাজার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছে শিশুরা।
আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার জানান, গাজার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে গাজায় সীমিত পরিমাণে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার ত্রাণ নিয়ে মাত্র পাঁচটি ট্রাক উপত্যকাটিকে প্রবেশ করেছে। গাজার সার্বিক খাদ্যাভাবের বিবেচনায় এটি ‘সমুদ্রে এক ফোঁটা পানি পড়া’র সমান বলে মনে করছেন ফ্লেচার।
তিনি জানান, এসব ট্রাকে শিশুদের খাবার ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও তা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কাছে পৌঁছায়নি।
জাতিসংঘের মাঠপর্যায়ের দলগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ চরম খাদ্য সংকটে আছে। এই পরিস্থিতিতে দৈনিক অন্তত ৫০০ ট্রাক সহায়তা পৌঁছানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির ঘাটতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, যদি অবরোধ অব্যাহত থাকে, তবে তারা যৌথ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। অস্ট্রেলিয়াও ২২টি দেশের সঙ্গে একত্রে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে নিন্দা জানিয়েছে।
এম এইচ/