Homeদেশের গণমাধ্যমেফ্যাসিবাদের সহযোগী আখ্যা দিয়ে তালিকা প্রকাশ জুলাই ঐক্যের

ফ্যাসিবাদের সহযোগী আখ্যা দিয়ে তালিকা প্রকাশ জুলাই ঐক্যের


‘সচিবালয়ে ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের একটি সংগঠন। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের তৎকালীন সিনিয়র সহকারী কমিশনার উজ্জ্বল কুমার হালদার ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। 

মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সচিবালয়ে ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে ‘জুলাই ঐক্য’। সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয় ও প্রশাসনে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সংক্রান্ত যে তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ছক অনুযায়ী প্রস্তুত করে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে- সেখানেও উজ্জ্বল কুমার হালদারের নাম রয়েছে। তালিকাটির একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তালিকায় উজ্জ্বল কুমার হালদারের নাম ৫ নম্বরে রয়েছে।

উজ্জ্বল কুমার হালদার ২০২৫ সালের ২৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকা জেলা প্রশাসনের তৎকালীন সিনিয়র সহকারী কমিশনার উজ্জ্বল কুমার হালদার আন্দোলন দমনে মোট ৯ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দায়িত্বপালনকালে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে ওই স্থানে দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্য ল্যান্স নায়েক মোস্তফা সাবমেশিনগান (এসএমজি) দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তবে ওই গুলিতে কেউ হতাহত হননি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে রৌমারী ইউএনও উজ্জ্বল কুমার হালদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত ও সরকারি ফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে এই বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি কোনও জবাব দেননি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত