Homeঅর্থনীতিলভ্যাংশ বিতরণ ও বিনিয়োগ সীমার নতুন নিয়ম

লভ্যাংশ বিতরণ ও বিনিয়োগ সীমার নতুন নিয়ম


দেশের মিউচুয়াল ফান্ড খাতের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে এর বিধিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী, মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে কোনো বছরে অর্জিত মুনাফার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ইউনিটধারী বা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরণ করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বেমেয়াদি ফান্ডের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ হবে অর্জিত লাভ অথবা ভার আরোপিত গড় আয়ের মধ্যে যেটি কম, তার ৩০৭ শতাংশ।

পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা’ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সুপারিশমালায় এসব নতুন নিয়মের কথা বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের হাতে এই চূড়ান্ত সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসইসির কমিশনার আলী আকবর, টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন।

মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। চূড়ান্ত সুপারিশে বলা হয়েছে, একক শেয়ারে বিনিয়োগের সীমা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একক শিল্প খাতে বিনিয়োগের সীমা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনো ইক্যুইটি সিকিউরিটিতে মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ করা যাবে না। শুধু পুঁজিবাজারে মেইন বোর্ডে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ইস্যু করা বন্ড বা প্রেফারেন্স শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে।

মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যয়ের ক্ষেত্রেও সীমা টানা হয়েছে এই সুপারিশমালায়। মিউচুয়াল ফান্ডের মোট বার্ষিক ব্যয় অনুপাত (Total Annual Expense Ratio) সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ফিক্সড ইনকাম অথবা মানি মার্কেট ফান্ডের ক্ষেত্রে এই হার হবে ২ শতাংশ।

সকল মেয়াদি (ক্লোজড-এন্ড) ফান্ডকে অবশ্যই ট্রাস্ট ডিডে নির্ধারিত প্রাথমিক মেয়াদ শেষে অবসায়ন (রিডিম) করতে হবে। তবে যদি কোনো বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) উপস্থিত ইউনিট হোল্ডারদের তিন-চতুর্থাংশ (ইউনিটের মালিকানার শতাংশের ভিত্তিতে) ফান্ডটি ওপেন-এন্ড ফান্ডে রূপান্তরের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে ওই ফান্ড রূপান্তরিত হতে পারবে।

যেসব মেয়াদি ফান্ডের মেয়াদ ইতিপূর্বে বাড়ানো হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সংশোধিত বিধিমালার কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে একটি ইজিএম আহ্বান করতে হবে। সেখানে ইউনিট হোল্ডারদের রূপান্তরের বিষয়ে ভোট নেওয়া হবে। যদি ইউনিট হোল্ডারদের ৭৫ শতাংশ রূপান্তরের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে ফান্ডটি রূপান্তরিত হবে। অন্যথায় ওই সময় থেকে তিন মাসের মধ্যে ফান্ডটি মেয়াদ শেষ বিবেচনায় অবলুপ্ত (রিডিম) করতে হবে।

এ ছাড়া গ্রোথ, ব্যালান্সড, শরিয়াহ-অনুবর্তী, ফিক্সড ইনকাম ও মানি মার্কেট ফান্ডের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বাধ্যতামূলক সম্পদ বরাদ্দ (অ্যাসেট অ্যালোকেশন) নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এসব পরিবর্তন মিউচুয়াল ফান্ড খাতের স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত