[ad_1]
মব তৈরি করে যদি রায় নেয়া যায় তবে হাইকোর্টের দরকার কি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেওয়ায় এ কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সারজিস আালম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’
এর আগে সকালে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এই রিট করার এখতিয়ার না থাকায় রিটটি খারিজ করা হলো। একইসঙ্গে নির্বাচনী ফোরামের মামলা অন্য ফোরামে না গিয়ে এখানে আসা ঠিক হয়নি বলেও উল্লেখ করেন আদালত।
ইশরাকের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামালের মতে, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদীপক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারে। তবে সেটা হতে হবে মামলার বিবাদীপক্ষ। যেমন ফজলে নূর তাপস। কিন্তু সেখানে আপিল না করে একজন আইনজীবী রিটকারী হয়ে হাইকোর্টে আসতে পারেন না। তাই এ রিট খারিজযোগ্য।
অন্যদিকে ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মূসা।
রিট খারিজের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেম্বার আদালতে যাবো। আজই যেতে পারি অথবা পরবর্তী কার্যদিবসে। আমরা আদালতে নকল দেওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছি।
এর আগে এ রিটের ওপর মঙ্গলবার দুপুর ১টায় শুনানি শুরু হয়। চলে প্রায় ২টা পর্যন্ত। এরপর মুলতবি করা হয়। বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় সোয়া ৫টা পর্যন্ত ফের শুনানি চলে। তারপর আদেশের জন্য বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ফের শুনানি ও আদেশের জন্য নির্ধারণ করা ছিল। সেটি পিছিয়ে বৃহস্পতিবার রিটের আদেশ দেওয়া জন্য দিন ধার্য করা হয়।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এমএমএআর/জিকেএস
[ad_2]
Source link