[ad_1]
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো বলিউডে অভিনয় করেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত স্পাই থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘খুফিয়া’-তে ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবুর সঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করেন তিনি। শুধু অভিনয়ই নয়, সিনেমার একটি চুম্বন দৃশ্যে অংশ নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। সে সময় চুম্বন দৃশ্য ঘিরে দর্শকমহলে যেমন বিস্ময় ও আগ্রহ দেখা যায়, তেমনি বাঁধনকে নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনাও হয়। সিনেমা মুক্তির দুই বছর পর, ২০২৫ সালে হঠাৎ সেই স্মৃতি তুলে আনেন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বাঁধন শেয়ার করেন ‘খুফিয়া’ সিনেমার চিত্রনাট্য বাছাইয়ের সময়কার একটি ঘটনাপ্রবাহ। তিনি লেখেন, পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আজমেরী, এই ছবির প্রস্তাব সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে। তুমি কেন রাজি হলে?” এ প্রশ্নের উত্তরে বাঁধন বলেন, “টাবুকে চুম্বন করার সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চাইবে?” বাঁধনের এমন রসিক উত্তরে পরিচালক নিজেও হেসে উঠেছিলেন। তবে মজার ছলে দেওয়া ওই জবাবের পর বাঁধন সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলেন, “সত্যি কথা বলতে, আমি আপনার সঙ্গে কাজের সুযোগ হারাতে চাইনি। আমি একজন শিল্পী। শিল্পচর্চায় ভয় পাওয়ার সুযোগ নেই। উপরন্তু, আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং ও পছন্দনীয় ছিল।”
বিশাল ভরদ্বাজ জানান, সিনেমাটির কিছু বিতর্কিত বিষয়- যেমন ‘জামায়াত’ শব্দের ব্যবহার ও সমলিঙ্গ চুম্বন দৃশ্য নিয়ে বাংলাদেশের অনেক অভিনেত্রী আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং কাজ করতে রাজি হননি। কেউ কেউ দৃশ্য নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও বাঁধন নিজেকে শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, “স্যার, এসব বিষয়ে ভয় পাই না। আমি মনে করি, সবাইকে নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার থাকতে হবে। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং চাই না, মৌলবাদীরা এখানে আধিপত্য বিস্তার করুক।” বাঁধনের এমন স্পষ্ট বক্তব্যে খুশি হন বিশাল ভরদ্বাজ। তিনি বলেন, “আমি ঠিক মানুষকেই ছবির জন্য নির্বাচন করেছি। খুব ভালো লাগছে, আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।”
বাঁধনের এই স্মৃতিচারণ ইতোমধ্যে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বাঁধনের সাহসী অবস্থান প্রশংসনীয়, তিনি শিল্পের স্বাধীনতাকে সম্মান করেছেন। অন্যদিকে, কেউ আবার মনে করছেন, তার মন্তব্য অতিমাত্রায় সরাসরি ও বিতর্ক সৃষ্টিকারী।
তবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে গিয়ে আজমেরী হক বাঁধনের এই বলিউড যাত্রা এবং স্পষ্টবাদী অবস্থান একজন অভিনেত্রীর শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ব্যক্তিত্বকেই সামনে আনে।
[ad_2]
Source link