Homeদেশের গণমাধ্যমেমাতৃস্বাস্থ্যের বিনা মূল্যের ওষুধ ও সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ

মাতৃস্বাস্থ্যের বিনা মূল্যের ওষুধ ও সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ

[ad_1]

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা হেলথকেয়ার বিভাগের লাইন ডিরেক্টর মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, নতুন ডিপিপি তৈরির এই সময়ে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মসূচি ছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে সরবরাহ পেয়ে থাকে। তাই সেখানে মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রসবের সব ওষুধের মজুত শূন্য নয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ঢাকার কেন্দ্রীয় পণ্যাগার এবং ভোলা, ফরিদপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, বরিশাল, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, বান্দরবান, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, বগুড়া, চট্টগ্রাম ও খুলনা, মোট ২২টি আঞ্চলিক পণ্যাগারে স্বাভাবিক প্রসব কিট, ডিডিএস কিট, প্রসবের সরঞ্জামাদি সেট, বারবার ব্যবহারযোগ্য ক্লিনিক্যাল প্রসব সহায়ক সরঞ্জামাদি, ক্লিনিক্যাল প্রসব সহায়ক ওষুধ ও একবার ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জামাদির মজুত শূন্য। একেকটি আঞ্চলিক পণ্যাগার থেকে কয়েকটি উপজেলায় পণ্য সরবরাহ করা হয়। ৪৯৪টি উপজেলায় নরমাল ডেলিভারি কিট বা স্বাভাবিক প্রসব কিটের মজুত শূন্য। আর ডিডিএস কিট নেই ৪৭৪টি উপজেলায়। সম্ভাব্য মজুতশূন্যতা ১৭টি উপজেলায়, ২টিতে মজুত কম এবং মাত্র একটি উপজেলায় মজুত সন্তোষজনক।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপকরণ ও সরবরাহ বিভাগের পরিচালক মার্জিয়া হক প্রথম আলোকে বলেন, চতুর্থ এইচপিএনএসপির মেয়াদ শেষে কিছু সিদ্ধান্তগত জটিলতার কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কেনাকাটা করা যায়নি। ফলে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পণ্যাগারে এখন ডিডিএস কিট, স্বাভাবিক প্রসব কিটসহ অন্যান্য জরুরি ওষুধ ও সরঞ্জামের মজুত নেই। কোনো কোনো উপজেলায় অল্প পরিমাণে ডিডিএস কিট থাকলেও স্বাভাবিক প্রসব কিটের মজুত নেই। রাজস্ব খাত থেকে জরুরি ওষুধ ও সরঞ্জাম কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে সরবরাহ শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে নতুন ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছে। ডিপিপি অনুমোদন হলে প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, একটি কর্মসূচির মেয়াদ শেষের সময়ে এই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে কেনাকাটা করার দরকার ছিল। সরকারি কর্মকর্তারা তা না করে হাত-পা গুটিয়ে বসে ছিলেন। তাঁদের সদিচ্ছার অভাব ছিল। এ নিয়ে তাঁদের জবাবদিহি করা উচিত। কারণ, এসব হাসপাতাল থেকে সাধারণত দরিদ্র মানুষেরা সেবা নেন, তাঁরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।   

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত