Homeদেশের গণমাধ্যমেসাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের আনাগোনা কম, হতাশ ব্যবসায়ীরা

সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের আনাগোনা কম, হতাশ ব্যবসায়ীরা

[ad_1]

ঢাকার ব্যবসায়ী বিপ্লব কুমার মহাজন কুয়াকাটায় সপরিবার বেড়াতে এসেছেন। এর আগেও একাধিকবার কুয়াকাটায় বেড়ানোর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এই পর্যটক বলেন, ‘এবার এসে সৈকতের শ্রীহীন অবস্থা দেখলাম। সৈকত বলতে এখন ছোট একটা জায়গা। তা–ও কেবল ভাটার সময় দেখা যায়। জোয়ারের সময় সৈকত থাকে না, পুরোটাই তলিয়ে যায়। সৈকত এতটাই ভেঙেছে, যা দেখে কষ্ট পাই। কুয়াকাটাকে বাঁচাতে হলে সৈকতকে রক্ষায় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে পর্যটকেরা ট্যুরিজম পার্ক, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার ঘুরে দেখছেন। এ ছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্রপথে ফাতরার বন (টেংরাগিরি), সোনাকাটা-ফকিরহাট (ইকোপার্ক), লাল কাঁকড়ার চর, লেম্বুর বন, শুঁটকিপল্লি ঘুরে দেখে ভ্রমণপিপাসুরা আনন্দ পান।

কুয়াকাটার আকর্ষণীয় ও অভিজাত আবাসিক হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস। রিসোর্টটির সহকারী ব্যবস্থাপক শাহীন আলম বলেন, ‘আমাদের এখানে ১২টি ভিলাসহ ১৮৬টি কক্ষ রয়েছে। বুকিংয়ের অবস্থা খারাপ। কেবল আজকে এক দিনে ৫০ শতাংশ কক্ষের বুকিং রয়েছে। এবার বড় একটা সময় বন্ধ থাকলেও সব মিলিয়ে ৪০-৫০ শতাংশ কক্ষের বুকিং রয়েছে। গতবারের তুলনায় খুব কম। আমরা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়েছি।’

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদ–পরবর্তী সময়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। এর বাইরে চিকিৎসক দল, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি দলও তৈরি রয়েছে। আমরা পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত