[ad_1]
এই পাঁচটি জেলার মধ্যে আমার কর্ম অঞ্চলের নওগাঁ জেলাও আছে। সম্পাদক স্যার তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাত নেড়ে ইঙ্গিত করলেন। জানতে চাইলেন, এটি সম্ভব কি না এবং নওগাঁয় আমরা প্রত্যাশিত ফলাফল পাব কি না? তাঁর হঠাৎ প্রশ্নে একটু দ্বিধায় পড়লাম।
কী বলব, মাথায় যা ঘুরছে তা–ই, নাকি মুখের সহমত? কয়েক সেকেন্ড ভেবে, রিস্ক নিয়েই ফেললাম! বেশ দৃঢ়ভাবে বললাম, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন সম্ভব, তবে এভাবে নওগাঁ জেলায় প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। মনে মনে যা ভেবেছিলাম তা–ই, আমার উত্তর শুনে তিনি অবাক বিস্ময়ে আমার দিকে তাকালেন। জিজ্ঞেস করলেন, প্রথম আলোতে আমি কত দিন? বললাম, এক বছর প্রায়। এবার, কেন সম্ভব না, তা জিজ্ঞাসা না করে প্রথম আলোর অর্জনের ইতিহাস থেকে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম। যেন কানের মধ্যে বাজছে ঝিঁঝি পোকার শব্দ আর বুকের মধ্যে চলছে ফাঁপরের হাওয়া। মনে হতে লাগল, আমি যেন সেধে বিপদে পড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেছি! পরিস্থিতি অনুধাবন করে পরবর্তী বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপচাপ থাকলাম। শুধু পরিবেশ অনুকূলে আনতে দুই-তিনবার সরি বললাম। কিন্তু তিনি যেন তা শুনতেই পেলেন না।
কিছুক্ষণ পরে তিনি মিটিং থেকেই বের হয়ে গেলেন। তাঁর প্রয়োজনে, নাকি আমার ওপর রেগে মিটিং ত্যাগ করলেন, তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে কেন জানি মনে হতে লাগল, আমার কথায় রাগ করেই তিনি চলে গেলেন। মনে মনে এটা ভেবে এবার ভীষণ লজ্জায় পড়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল, ‘চিচিং ফাঁক’ বলে কোনো জাদুকরি দরজা খোলার ক্ষমতা পেলে সে দরজা পেরিয়ে এখান থেকে পালিয়ে যাই এক্ষুনি!
[ad_2]
Source link