[ad_1]
এরপরই পুরান ঢাকা থেকে মানুষজন শাহবাগ মোড়ে আসতে থাকেন স্রোতের মতো। সবার হাতেই ছিল লাঠিসোঁটা। তাঁরা নানা রকম স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বেলা দুইটার দিকে কিছুক্ষণ পরপরই কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটরের দিক থেকে গুলির শব্দ আসছিল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা বাংলামোটর মোড়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন।
আমি তখন দাঁড়িয়ে ছিলাম পরীবাগ এলাকায়। কিছুক্ষণ পরপরই গুলিবিদ্ধ লোকদের রিকশায় করে শাহবাগ মোড়ের দিকে নিয়ে যেতে দেখি। তবে গুলিবিদ্ধ এত মানুষকে দেখেও আন্দোলনকারীদের চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ দেখিনি, দেখেছিলাম উল্টো নিরস্ত্র থেকেই অস্ত্রধারীদের ধাওয়া দিয়ে কারওয়ান বাজার এলাকাছাড়া করার দৃশ্য।
নির্বিচার গুলি হচ্ছে—এমন পরিস্থিতিতে মাঠে থেকে সাংবাদিকতা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। আন্দোলনকারীদের কখন কার গায়ে এসে গুলি লাগবে, তা নিয়ে ভ্রুক্ষেপ দেখিনি। তবে নিজের মধ্যে কিছুটা সংশয় কাজ করছিল। এমন পরিস্থিতিতেই অলিগলি হয়ে পৌঁছাই কারওয়ান বাজার মোড়ে। এসে দেখি অস্ত্র হাতে আওয়ামী লীগের লোকেরা আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন। পিস্তল ও শটগানে বুলেট ভরে কিছুক্ষণ পরপর গুলি করছেন। গুলিতে কেউ পড়ে গেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের লোকদের ধাওয়া দিয়ে ফার্মগেটের দিকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর কয়েক শ পুলিশ নিয়ে আবারও আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু এরপরও তাঁরা পেরে ওঠেননি। কারণ, আন্দোলনকারীরা ছিলেন অকুতোভয়। রাত আটটার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
[ad_2]
Source link