[ad_1]
এ সব ঘটনায় জনমানসে ‘ভূক্তভোগী’ হিসেবে চিত্রিত হওয়া নাসুম খেলার মাঠেও খুব কৌতুহল জাগানো কোনো চরিত্র নন। আবার নিজেকে নিয়ে অন্যদের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়ে তুলতে দরকার ব্যাটে–বলে বিশেষ কিছু। সেটাও তেমন একটা হয়ে ওঠেনি। কাল শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে ম্যাচটি খেলেছেন, সেটি ওয়ানডেতে তাঁর ১৬তম। আগের পনের ম্যাচে উইকেট মোটে ১২টি, রান ১৫৬। দুবার তিন উইকেট করে নিয়েছেন, কিন্তু ম্যাচের ফলে সেটার প্রভাব ছিল ন্যুনতম। মূল পরিচয় বাঁহাতি স্পিনার হলেও ব্যাটিংও খারাপ করেন না। গত বছর এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ৪৪ রানের একটা ইনিংসও আছে তাঁর। কিন্তু বল হাতে ৫০ রান দিয়ে উইকেটহীন থাকা আর একই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং–বোলিংয়ের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স তা ঢেকে দিয়েছিল।
নাসুম আরও আড়ালে পড়ে যান ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে বলেছিলেন দেশকে এমন কিছু এনে দিতে চান, যা আগে হয়নি। কিন্তু ৩ ম্যাচে ২৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে দেশে ফিরেছেন উইকেটশূন্য হাতে। সঙ্গে যদি ‘বোনাস’ কিছু হয়ে থাকে, তা হাথুরুসিংহের হাতে হেনস্থা হওয়া।
সেই যে ২০২৩ বিশ্বকাপে ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ ওভারে ৮০ রান দিয়ে বাদ পড়েছিলেন, তার পরে ওয়ানডে দলের একাদশে জায়গা মিলেছে এবারের ৯ নভেম্বরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও হয়তো খেলতেন, যদি ভিসা জটিলতার কারণে তখন দেশে না থাকতে হতো। দুই দিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাল যখন প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছেন, বাংলাদেশ দল তখন তিন বলের মধ্যে নাজমুল হোসেন ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে ১৮৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে কাঁপছে।
[ad_2]
Source link