[ad_1]
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কটূক্তির অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকেই প্রতিবাদ উঠতে শুরু করে। সেটা যে ভুল বুঝাবুঝি ছিল, সেই সমাধানও হয়ে যাওয়ার মধ্যে নাহিদ ইসলামের পোস্ট– কে বা কারা তার বিরুদ্ধে নিয়োগের সুপারিশ করে ভুল তথ্য ছড়াতে চায়।
এসবের মধ্যে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও সাবধান করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বায়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে সাম্প্রতিক সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) তাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠে। তবে জুলাই বিপ্লবে নাহিদের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তার ওপর অমানবিক নির্যাতনের দুইটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
ওই পোস্টের ক্যাপশনে হাসনাত লেখেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের চিত্র এমনই ছিল। যারা হাসিনাকে পুনর্বাসনে সহায়তা করছে তারা দেশকে রক্তপাত, জোরপূর্বক গুম, হত্যার সেই পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায়। হাসিনা শাসনের পুনর্বাসনকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত একই বিধ্বংসী পরিণতি ঘটবে।’
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী বাংলাদেশই নাহিদ। উই আর নাহিদ। জুলাই ১৩৬, ২০২৪।’
এদিকে একই ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সারজিস আলম।
তিনি আরও লেখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি। সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই। ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার আমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। যখনই সংকট এসেছে আমার এই সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে।’
সারজিস লেখেন, ‘কিন্তু এজেন্ট হিসেবে ভেতরে ঢুকে তাদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয়, তবে সেটা কখনও সফল হবে না। এই বন্ধন এমনি এমনি তৈরি হয়নি। হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসঙ্গে লড়াই করে এই বন্ধন তৈরি হয়েছে। সাবধান!’
[ad_2]
Source link