[ad_1]
যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ড. মোহা. এনামুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অধিকতর পর্যালোচনা করে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি বিভাগের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. শেখ সা’দ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অধ্যাপক এনামুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। আলোচনা-পর্যালোচনার পরে সে কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যাহতি পাওয়ার পর অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। আমাকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যেই এ অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া যেই অভিযোগ সেল ছিল, সেটি ছিল একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি। যৌন নিপীড়ন সেলের একজন সদস্য নিজেই এখন যৌন হয়রানির অভিযোগে বিভাগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং আমাকে গতকাল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নেবো এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে, গত বছরের মে মাসে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির কক্ষে বিভাগীয় সভা চলাকালে বিভাগের এক নারী অধ্যাপকের সঙ্গে অধ্যাপক এনামুল হকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই নারী অধ্যাপক যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অপরদিকে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে পাল্টা অভিযোগ দেন অধ্যাপক এনামুল। এ পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তের সুপারিশক্রমে গত বছর অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে ড. এনামুল হককে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে দুই বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক এনামুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সভাপতি। ঘটনার পর থেকেই তিনি অভিযোগ করে আসছিলেন, ভিন্ন দলের হওয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[ad_2]
Source link
