Homeজাতীয়ইরানে হিজাব পরতে অনাগ্রহীদের দেওয়া হবে ‘মানসিক চিকিৎসা’

ইরানে হিজাব পরতে অনাগ্রহীদের দেওয়া হবে ‘মানসিক চিকিৎসা’

[ad_1]

ইরানে হিজাব আইন লঙ্ঘনকারীদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ক্লিনিক খোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধী হেডকোয়ার্টারের প্রধান মেহরি তালেবি বলেন, যারা হিজাব পরিধান করছেন না, তাদের জন্য এই ক্লিনিকে “বৈজ্ঞানিক এবং মানসিক” চিকিৎসা দেওয়া হবে।

এই ঘোষণা দেশের নারী এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী হোসেন রাইসি মন্তব্য করেছেন, এই ধরনের চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা ইরানের আইন ও সংবিধানের বিরোধী। তিনি আরও বলেছেন, যেহেতু এই বিভাগটি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীনে পরিচালিত হয়, এটি নারীদের ওপর আরো বড় ধরনের দমনমূলক পদক্ষেপের সূচনা হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী এই সিদ্ধান্তকে “চিকিৎসা কেন্দ্র নয়, বরং কারাগার” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন এখনই শুরু করতে হবে, না হলে সবাইকে কারাগারে যেতে হবে।”

এর আগে ইরানে অন্তর্বাস পরে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করেন এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তিনি অভিযোগ করেন, ঠিকমতো হিজাব না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডরা তাকে হেনস্তা করেন। এর প্রতিবাদে তিনি এমন আচরণ করেন।

জানা গেছে, পরে ওই শিক্ষার্থীকে একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এর আগে তার ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা বলছে, ওই নারীর বর্তমান অবস্থান তারা জানেন না।

ইরানের এই নতুন সিদ্ধান্তটি দেশটির রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে নারী অধিকার নিয়ে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত