[ad_1]
ধানের মাঠ সবুজ হয়ে আছে। বিস্তীর্ণ খেতে উপচে পড়ছে চকচক করা বিকেলের রোদ। খেতের পাশে এখানে-ওখানে মাচায় ঝুলছে লাউয়ের ঝাড়, ছোট-বড় লাউ। বাঁশ ও নীল রঙের প্লাস্টিকের জালে বেড়া দেওয়া খেতে অন্য রকম সবজিও আছে। মনু নদের পাড়ের ভেতরে-বাইরে এ রকম টুকরা টুকরা অনেকগুলো সবজিখেত।
এ রকম সবজিখেতের একজন উদ্যোক্তা মো. শুভ ইসলাম (৩৩)। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে মনু নদের পাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাঁর সবজির খেত। কোথাও লাউ, কোথাও মিষ্টিকুমড়া, কোথাও শসাখেত। এই সবজিখেতেই এখন তাঁর দিন কাটে। এই সবজি চাষেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন মুক্ত জীবনের স্বাদ–স্বাধীনতা, ইচ্ছেমতো চলার আনন্দ। জীবিকার সহজ নির্ভরতা।
৮ নভেম্বর হেমন্তের এক বিকেল। পশ্চিমে সূর্য ডুবছে। তার মিঠে আলোর রেশ ছড়িয়ে আছে প্রকৃতিতে। মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কের মাতারকাপনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে একটি পাকা সড়ক উত্তরের দিকে চলে গেছে। সেই সড়ক ধরে বাঁশতলার দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে সড়কের দুই পাশে ধানের সবুজে চোখ আটকে পড়ে। শহরের একজন খুচরা সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে জানা গেল, বাঁশতলায় অনেকেই সবজি চাষ করেন। এ রকম উদ্যোক্তার মধ্যে শুভ ইসলাম নামের আছেন একজন। সবজির দুর্মূল্যের সময়ে তাঁর খেত থেকে লাউসহ বিভিন্ন সবজি শহরে আসে।
মাঠ পেরিয়ে মনু নদের পাড় ধরে একসময় তাঁর বাড়িতে গেলে, তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। তিনি (শুভ ইসলাম) তখন সবেমাত্র খেত থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ির কাজ সেরে আবার খেতে ফিরে যাবেন। সন্ধ্যার অন্ধকার নামলে আবার বাড়ি ফেরা হবে।
[ad_2]
Source link