Homeদেশের গণমাধ্যমেজুস-বিস্কুট খেয়ে অনশন ভাঙলেন পোষ্য কোটা বাতিল চাওয়া শিক্ষার্থীরা

জুস-বিস্কুট খেয়ে অনশন ভাঙলেন পোষ্য কোটা বাতিল চাওয়া শিক্ষার্থীরা

[ad_1]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের আশ্বাসে তারা জুস ও বিস্কুট খেয়ে অনশন ভাঙেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অনশনে অংশ নেন। সেখানে ৯ জন শিক্ষার্থী সারা রাত অবস্থান করেন। ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বেশ কিছু শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নেন।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানসহ প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাব্যক্তি কয়েক দফা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় থাকেন।

শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন। এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর সব জায়গায় সংস্কার ও নতুন করে চিন্তা করার দরজা উন্মুক্ত হয়েছে। নতুন বাস্তবতায় কোটা রাখার সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ৩ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার পক্ষে ৮০-৯০ শতাংশ স্টেকহোল্ডাররা (অংশীজনেরা) মতামত দিয়েছেন। সেখানে আমার অবস্থান জানিয়ে তাদের বলেছি, এটি রাখার পক্ষে সুস্পষ্ট কোনও যুক্তি আমার কাছে নেই।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘নিয়ম ও যুক্তির মধ্য দিয়ে এটা সমাধান করতে হবে। সর্বোচ্চ সহানুভূতি ও বিবেচনা দিয়ে একটা রিভিউ কমিটি তোমাদের সঙ্গে বসবেন এবং তোমাদের কথা শুনবেন। সেখানে তোমরা তোমাদের দাবি, সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরবে। শিক্ষক ও বেশ কিছু কর্মকর্তা আছেন, যাদের জন্য পোষ্য কোটা মানায় না। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা একেবারে নিম্ন আয়ের, জীবন নিয়ে সংগ্রাম করেন, যদি সুযোগ থাকে, এসব বিষয়ও উঠে আসবে আলোচনায়। তোমরা অনশন ভাঙবে এ জন্য যে তোমরা যেটা চাচ্ছো, সেটা করার জন্য আমাদের সব চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আমাদের আশ্বস্ত করেছেন একটা রিভিউ কমিটি আমাদের সঙ্গে বসে আগামী সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। সেই সিদ্ধান্ত যদি আমাদের পক্ষে না যায়, তাহলে আমরা আবারও আন্দোলনে বসবো।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত