[ad_1]
অনুরাগ আচারিয়া বলেন, দুর্নীতি দক্ষিণ এশিয়ার সমাজের অন্তর্নিহিত বিষয়। নেপালে গত কয়েক বছরে বড় ধরনের রাজনৈতিক ভাঙাগড়া হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি আছেই; সেই দুর্নীতির ফসল রাজনীতিকদের ঘরেও যাচ্ছে। রাজনৈতিক নতুন বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে যেটা হয়েছে সেটা হলো, দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণ। এই বাস্তবতা দেশটির তরুণদের জন্য আশাব্যঞ্জক নয়। তারা মনে করছে, নেপালের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এই বাস্তবতা দুঃখজনক।
ফায়াজ ইয়াসিন দুর্নীতির বিভিন্ন ধরনের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, একধরনের মানুষ আছেন, যাঁরা সন্তানকে ভালো স্কুলে পড়াতে বা পরিবারের সদস্যদের ভালো চিকিৎসা করাতে দুর্নীতি করেন। আরেক দল আছেন, যাঁরা সম্পদ গড়তে দুর্নীতি করেন; তিনি এর নামকরণ করেন লোভভিত্তিক দুর্নীতি। এই শ্রেণির মানুষেরা বিদেশে অর্থ পাচার করেন।
অর্থ পাচারের প্রসঙ্গে ফায়াজ ইয়াসিন ভিদাল আরও বলেন, দুবাইয়ে বিদেশিরা যত সম্পদ কেনেন, তার এক-তৃতীয়াংশ পাকিস্তানি; তাঁরা আবার বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি নন, সরকারি কর্মকর্তা। দুর্নীতি আটকাতে আইন যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে তাঁর পরামর্শ, মানুষ সৎ থাকলে যেন পুরস্কৃত করা হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে মুশতাক খানও একই সুরে বলেন, দুর্নীতি আটকাতে কেবল ব্যক্তি মানুষের নীতিনৈতিকতার ওপর ভর করলে চলবে না, সেই মানুষদের বাহবা দিতে হবে। দুর্নীতি এককভাবে হয় না, হয় দলগতভাবে। সে জন্য ক্ষমতার ভারসাম্য থাকতে হবে। মানুষ যেন দুর্নীতি করতে উৎসাহিত না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
[ad_2]
Source link