Homeরাজনীতিপাঁচ দফা দাবিতে পদযাত্রা ও সমাবেশের তারিখ ঘোষণা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের

পাঁচ দফা দাবিতে পদযাত্রা ও সমাবেশের তারিখ ঘোষণা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের

[ad_1]

গণহত্যার বিচার, ছাত্রসংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ২৭ নভেম্বর পদযাত্রা ও সমাবেশ করবে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। পদযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনের নেতারা।

তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো— ১. অবিলম্বে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার কর। শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা, আহতদের সুচিকিৎসা এবং পূনর্বাসনের ব্যবস্থা কর। ২. ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পাঁয়তারা বন্ধ করা। অবিলম্বে  ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ৩. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রন করতে হবে। নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য আর্মি রেটে রেশন দিতে হবে। সিন্ডিকেট এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করতে হবে। ৪. শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশি হামলা বন্ধ করা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার করতে হবে। ৫. পুনর্বাসন ছাড়া রিকশা শ্রমিকদেরকে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলন নেতারা বলেন,২০২৪ এর অভ্যুত্থানে সব ছাত্র সংগঠন ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আওয়ামী বিরোধী লড়াইয়ে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলেই সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে। রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং মিছিল-সমাবেশের মধ্য দিয়েই এ লড়াইয়ে জনগণ সংগঠিত হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পূর্বের তুলনায় অধিক নিশ্চিত হবে। অথচ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অগণতান্ত্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। এসব সিদ্ধান্ত বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের দিশাহীন করা এবং গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কী? দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের  দখলদারিত্ব এবং প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসেছিল। ফলে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নানাভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান– ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পাঁয়তারা বন্ধ করে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করুন!

এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি  রাগীব নাঈম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  তাওফিকা প্রিয়া।

 

 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত