Homeদেশের গণমাধ্যমেগণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ আব্দুস সালামের

গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ আব্দুস সালামের

[ad_1]

শেখ হাসিনা বিদায় নিলেও দেশে গণতন্ত্র ফেরেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বিদায় হইছে, এখনও কিন্তু গণতন্ত্র ফিরে আসে নাই। শেখ হাসিনা বিদায় নিছে, এখনও আমাদের নেতা তারেক রহমান ফিরে আসে নাই। তাই এই সরকারকে বলবো, নিরপেক্ষ সরকার হওয়ার চেষ্টা কইরেন না। নিরপেক্ষ সরকার না আপনি।’

গণতন্ত্র রক্ষায় নেতাকর্মীদের লাঠি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়ে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আপনারা ১৭ বছর ধৈর্য ধরেছেন। আরও কয়েক মাস একটু ধৈর্য ধরেন। ধৈর্য ধরা মানে এই না যে রাজপথ ছেড়ে দিতে হবে। ধৈর্য ধরা মানে এই না যে লাঠিটা আওয়ামী লীগকে মেরেছিলেন, ওই লাঠিটা ফেলে দিতে হবে সেটা না। ওই লাঠিটা সযত্নে রাখবেন। যতি আবার গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত হওয়ার জন্য কেউ ষড়যন্ত্র করে, ওই ষড়যন্ত্রকারীর মাঠে লাঠি ভাঙার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাকে আমরা এনেছি। হাসিনাকে বিদায় করে, অভুত্থানের পরে এই সরকার আমরা এনেছি। তাই নিরপেক্ষতার নামে আওয়ামী লীগ যাতে পুনর্বাসিত না হয়, সেদিকে কিন্তু জনগণ খেয়াল রাখছে।’

আওয়ামী লীগের নেতারা কীভাবে ভারতে পালাচ্ছেন, সে প্রশ্ন তুলে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আজকে প্রশ্ন করতে চাই, রাজশাহীর যে অবৈধ মেয়র ছিল, জোর করে ক্ষমতা দখলকারী, সেই লিটন আজকে কোথায়? কোথায় আছে? এখন ও পালাইছে, কোথায় গ্রেপ্তার হয় নাই। এই সরকারকে বলি, ভারতীয় সরকারকেও বলি- সীমান্তে কৃষককে হত্যা করা হয়, শ্রমিককে হত্যা করা হয়, ফেলানিকে হত্যা করে তারকাটায় ঝুলাইয়া রাখা হয়। আর সীমান্ত পার হয়ে এই আওয়ামী লীগের হোমড়া-চোমড়ারা কীভাবে আজকে ভারতে যাচ্ছে, এই সরকারের কাছে আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই। আজকে ভারতকেও জিজ্ঞাসা করতে চাই। তাই বলবো, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’

দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব জিনিসপত্রের দাম কমান। চাল, ডাল, তেল, লবণের দাম কমান। এখন উপদেষ্টাদের দেখি, তারা প্রায় আড়াইশো স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা করে। স্টেডিয়াম বানানোর কাজ আপনাদের না। আপনাদের কাজ দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে বিএনপি, তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার কোনও বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচনে আমরা আশা করি, আমাদের সঙ্গে আন্দোলনকারী যে রাজনৈতিক দল ছিল, সবার সঙ্গে আমরা নির্বাচন করবো। ঐক্য যেন নষ্ট না হয়। সবার সঙ্গে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এটাই তারেক রহমানের নির্দেশ।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা। সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ সমাবেশ পরিচালনা করেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, কেন্দ্রের সদস্য আবু বকর সিদ্দিক, দেবাশিষ রায় মধু ও নগরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা প্রমুখ। 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত