Homeজাতীয়বাংলাদেশে কি আদৌ গণতন্ত্র ফিরবে? 

বাংলাদেশে কি আদৌ গণতন্ত্র ফিরবে? 

[ad_1]

নির্বাচন এড়াতে সংস্কারে দোহাই দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস? প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশে কবে গণতন্ত্র ফিরবে? আদৌ কি ফিরবে? গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, সংস্কারের ধরন ও পরিধি নির্ধারণ করবে রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে যে নির্বাচন কত দ্রুত হবে। 

একটি দৈনিককে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমতের বিষয়। কারণ, দেশের জনগণের প্রত্যক্ষ মতামত নিতে হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের বিষয়ে তার বক্তব্য, সংস্কার যত দ্রুত হবে, নির্বাচনও তত দ্রুত হবে। আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের

প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংস্কারের বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন ড. ইউনূস। 

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার কম সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের বক্তব্য, ‘আমরা কোনও কিছুই চাপিয়ে দিচ্ছি না।’ বর্তমান সরকার ও প্রশাসন কেবল প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কাজ করছে। 

নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে ইউনূস বলেন, ‘আমরা সমান্তরালভাবে দুটো রাস্তায় চলছি। …একটি হল নির্বাচন, অপরটি সংস্কার। দুই একদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা হয়ে যাবে। কমিশন তার মতো চলবে। সেটা তো আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। সেখানে যা যা দরকার সেটা হবে। সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে না।’

সংস্কারের সময়সীমা সম্পর্কে ইউনূস বলেন, কমিশনগুলির প্রতিবেদন ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পাওয়া যেতে পারে। আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কারের বিষয়ে ঐকমতে পৌঁছানোর জন্য সরকার যথেষ্ট সময় পাবে। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা হবে, সেখানে কি আওয়ামি লিগ থাকবে? তার উত্তর, ‘এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। যদি তারা চায় যে আওয়ামি লিগ এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিক, তাহলে সেটাই হবে।’ 

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ ও তথ্য ছাড়াই মামলা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরনো আইনে গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে। আমরা এটা থামিয়েছি।’

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে ইউনুস জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাপচালিতায় বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বলেন, ‘আমি তাঁকে (মোদিকে) বলেছি এটা (সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ) মিথ্যা প্রচার। প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে হলে ভারতীয় সাংবাদিকদের এখানে (বাংলাদেশে) পাঠান। সাংবাদিকরা এসে দেখুন, কোথায় যেতে চান যান। বাঁধা দেবে না কেউ। তারপর ভারতীয় সাংবাদিকরা আসতেও শুরু করলেন, কিন্তু ন্যারেটিভ পরিবর্তন হল না!’

যদিও ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ। মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে সেটা দুই দেশের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করবে না। দুই প্রতিবেশী দেশের এত দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং অবস্থান এমন যে একজন অন্যজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছাড়া সত্যিই টিকতে পারবে না।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত