Homeদেশের গণমাধ্যমেনেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও হামাস কমান্ডারের বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানা

নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও হামাস কমান্ডারের বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানা

[ad_1]

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালতের বিচারকরা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে এ তিন ব্যক্তির ‘অপরাধমূলক দায়বদ্ধতা’ থাকার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এই পরোয়ানা জারি করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, প্রাক-বিচারিক চেম্বার ইসরায়েলের আদালতের এখতিয়ার সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করে এ পরোয়ানা জারি করেছে। হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হলেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, জুলাই মাসে গাজায় এক বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।

আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান মে মাসে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট, দেইফ ও হামাসের আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। হামাস নেতাদের মধ্যে দুজন—ইসমাইল হানিয়াহ ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, দেইফও নিহত হয়েছেন। তবে চেম্বার এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল হামাস নির্মূলে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে গণহত্যা, হত্যা, জিম্মি নেওয়া, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা এবং যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধার ব্যবহারসহ হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসির ১২৪টি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর এখন পরোয়ানা কার্যকরের দায়িত্ব রয়েছে। অর্থাৎ, এসব দেশ ভ্রমণে গেলে তাদের গ্রেফতার করতে ওই দেশগুলো আইনত বাধ্য। তবে ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ আদালতের সদস্য নয় এবং তারা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত