[ad_1]
করণীয়
চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করে প্রোস্টেট বড় হয়েছে কি না, বুঝতে পারেন। কিছু টেস্ট করা হয় স্ফীতিটা ঠিক কী ধরনের তা বুঝতে ও চিকিৎসাপদ্ধতি নির্বাচন করতে। বিনাইন প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গ্রন্থির আয়তন, রোগের উপসর্গ, কতটা শারীরিক সমস্যা করছে, কোনো জটিলতা আছে কি না ও পরীক্ষা–নিরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে তিন ধাপে চিকিৎসা করা হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে জীবনযাত্রা পরিবর্তনের উপদেশ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বা মধ্যম পর্যায়ে ওষুধের মাধ্যমে উপসর্গ কমানো সম্ভব। তৃতীয় বা তীব্র পর্যায়ে অস্ত্রোপচার করতে হয়।
নানা ধরনের অস্ত্রোপচার পদ্ধতি রয়েছে। এখন পর্যন্ত ‘টিইউআরপি’কে সবচেয়ে আদর্শ ধরা হয়। এ পদ্ধতিতে কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়া অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রোস্টেট গ্রন্থির বাড়তি অংশ কেটে বের করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারেন।
প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ বিনাইন রোগের মতোই। ক্যানসার নিশ্চিত হলে স্টেজ গ্রেড অনুযায়ী র্যাডিক্যাল সার্জারি, রেডিওথেরাপি, হরমোন থেরাপি, কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। আশার কথা, এটি অন্যান্য ক্যানসারের মতো মারাত্মক নয়। এর ছড়িয়ে পড়া অন্য ক্যানসারের তুলনায় অনেক ধীর। ফলে সময়মতো সঠিক চিকিৎসা করলে সুস্থভাবে অনেক দিন বেঁচে থাকা যায়।
-
ডা. কাজী জিকরুর রাজ্জাক, ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, বিআইএইচএস, ঢাকা
[ad_2]
Source link