[ad_1]
সরকার—মালিকপক্ষের দায়সারা আচরণে শ্রমিক অসন্তোষ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। কারখানাগুলো শ্রমিকবান্ধব না হওয়ার কারণে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক মারা যায়। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘বিচারহীনতার ১২ বছর, তাজরিন শ্রমিক হত্যা : আগুন ও প্রাণের গল্প’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংগঠনের সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহীম চৌধুরী, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফা, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সাংবাদিক এম জে ফেরদৌস, অ্যাকটিভিস্ট কল্লোল মোস্তফা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শ্রমিক নিহত হন। তবে সরকারিভাবে এই সংখ্যা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে কত মারা গেছেন তা জানা যায়নি। এটি সুষ্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার পর তাজরিনের মালিক দেলোয়ারকে গ্রেফতারেরও গড়িমসি করা হয়েছে। সে ওই সময় যুবলীগের নেতা ছিল। অর্থাৎ সরকার দলীয় বলে এই গড়িমসি করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, শ্রমিক হত্যা নির্যাতনের বিচার হয় না বলেই এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে থাকে। গার্মেন্টস কারখানাগুলো কোনও ধরনের নীতিমালা মানেনা। শ্রমিকরা কারখানায় ঢুকলে গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়। এটি এক প্রকার জেলখানার শামিল।
বক্তারা বলেন, বিগত গণঅভ্যুত্থানে ৩০ জনের বেশি শ্রমিক মারা গেছে। এর পরে তারা যখন নিজেদের অধিকার আন্দোলনে গেলো সেই সময়ও তাদের জীবন দিতে হলো।
বক্তারা বলেন, একটি পরিবর্তনের জন্য যখন আমরা লড়াই করলাম, পরিবর্তনের পর আমরা অধিকারের কথা বলতে গেলাম সেখানেও আমাদের ওপর গুলি চালানো হলো। অর্থাৎ এখানেও আমাদের ওপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসলো।
শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তারা বলেন, আগামীতে শ্রমিকদের সব অধিকার বাস্তবায়নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণে।
[ad_2]
Source link