[ad_1]
শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তবে এই হুমকিকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
আজ রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত ‘আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা: ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক ছায়া সংসদে তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি, কর ফাঁকি এবং অর্থপাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ড. সেলিম আরও বলেন, ‘কিছু আমলা, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদের সমন্বয়ে আর্থিক খাতকে বিপর্যস্ত করা হয়েছে। গত এক দশকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দুর্নীতির এমন বিস্তার আর্থিক খাতের নীতিতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এখন সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় হতে হবে এবং শ্বেতপত্রের মাধ্যমে অনিয়মে জড়িতদের নাম প্রকাশ করতে হবে।’
ড. সেলিম তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। এটি সুশাসনের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হবে। তিনি অতীতে দেশের বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতাকেও উল্লেখ করেন, যা এই ধরনের অপরাধীদের রক্ষা করেছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘মিথ্যা উন্নয়নের গল্প দিয়ে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। দেশের জিডিপির ভুয়া পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে, সরকারের উচিত অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’
অনুষ্ঠানে আলোচকরা আরও বলেন, সরকারের উচিত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের নাগরিকত্ব এবং অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করা।
ছায়া সংসদে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইডেন মহিলা কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের দলকে পরাজিত করে ট্রফি অর্জন করে। এই আয়োজন তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
[ad_2]
Source link