[ad_1]
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবির। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক বার্তায় বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের কোনও সাংবাদিককে হয়রানি বরদাস্ত করবে না।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, নূরুল কবির তার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তির প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতা সততার শীর্ষ চ্যাম্পিয়ন।
গত ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া সম্মেলনে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হন নূরুল কবির।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে যাওয়ার সময় ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে আসছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আমার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া, মুদ্রিত নথিতে সবকিছু লেখা থাকা সত্ত্বেও ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষা করানো, আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে পাসপোর্টের পৃষ্ঠার ছবি তোলা ও উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কয়েক মিনিট আগে নথিপত্র ফেরত দেওয়ার মতো হয়রানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যদিও দেশে ফেরার সময় কোনও ঝামেলা পোহাতে হয়নি।’
অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া কনফারেন্সের জন্য বিদেশে যাচ্ছিলাম। আমি আশা করেছিলাম যে ঢাকা বিমানবন্দরে আমার হয়রানির দিনগুলো অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল। এবার বরং দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। দেশ ছাড়ার সময় এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশপ্রেমিক হওয়াটাকে সন্দেহের চোখে দেখে।’
[ad_2]
Source link