[ad_1]
সংবিধান সংস্কারে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানো, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি, একজন ব্যক্তির পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এসব প্রস্তাবে দলের ৩১ দফা, ২৭ দফা, ভিশন-২০২৩ ও জিয়াউর রহমানের ভাবধারা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব কমিশনে জমা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
গণভোটকে সাংবিধানিকভাবে রাখার প্রস্তাব রয়েছে বিএনপির– এ কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের সামনে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে তফসিল পর্যন্ত ৬২টি জায়গায় বিভিন্ন সংশোধনীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনার মূল অংশে কিছু নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদের রক্তের অঙ্গীকার, বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যাতে সংসদীয় একনায়কতন্ত্র সৃষ্টি না হয়, সেগুলো মাথায় রেখে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
‘একই ব্যক্তি পর পর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না– এমন বিধান, সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি, অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ যাতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে থাকে, গণভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব করেছে বিএনপি।’ উল্লেখ করেন সালাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবনায় প্রজাতন্ত্র, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, তফসিলসহ সব বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে, যাতে সংবিধানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সাধিত হয়। রাষ্ট্রের সব অঙ্গের সব ক্ষেত্রে যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হয়, সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপি এই নেতা জানান, তারা ব্যাপক ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন, যাতে এটা গণতান্ত্রিক সংবিধান সংশোধন হয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়।
[ad_2]
Source link